ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে যা ঘটছে

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আই্‌এসডব্লিউ) থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সর্বশেষ মূল্যায়নে বলা হচ্ছে, মারিওপোল শহরের কেন্দ্রস্থল ইউক্রেনীয় বাহিনী পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে লিপ্ত। শহরটির আশেপাশে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। তবে ইউক্রেন এখনও কৌশলগত দক্ষিণের বন্দর শহরের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। বিবিসি।

ট্রেনে সামরিক সরঞ্জাম

ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ক্রিমিয়ার নিকটবর্তী রুশ অধিকৃত শহর পশ্চিম খেরসন পুনরুদ্ধারে অগ্রগতি করেছে এবং তারা শহরটির রাশিয়ান নিয়ন্ত্রণকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রত্যাশায় উত্তরাঞ্চলীয় শহর খারকিভ থেকে প্রত্যাহার করা রাশিয়ান সেনারা ফিরে যাওয়ার সময় ভূমিমাইন পুতে রাখছে বলে খবর মিলেছে।

এদিকে ইজিয়ামে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার রাশিয়া সেখানে অতিরিক্ত কোনো অঞ্চল নতুন করে দখলে নিতে পারেনি। অধিকৃত এলাকা থেকে পিছু হটা রুশ সৈন্যরা ক্রমবর্ধমানভাবে পুনরায় যুদ্ধ করতে অস্বীকার করছে। কারণ তাদের মনোবল কমে গেছে বলে জানা গেছে।

ইউক্রেনের সৈন্য

দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের রুবিঝনে, পোপাসনা এবং মারিঙ্কা শহর দখলে নেওয়ার দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে রুশ বাহিনী। এর আগে ক্রামতোর্স্ক রেল স্টেশনে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়। রাশিয়া ইউক্রেন এ হামলার জন্য পরস্পরকে দুষছে।

দক্ষিণ ও পূর্বে রাশিয়ার বিমান হামলা বাড়বে: ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বে রাশিয়ার বিমান হামলা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তার সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়ান অপারেশনগুলো পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। সেইসাথে মারিওপোল এবং মাইকোলাইভের দক্ষিণের শহরগুলো তারা দখলে নিতে চায়।

যুক্তরাজ্য বলছে, ক্রিমিয়া ও ডনবাস অঞ্চলের মধ্যে স্থল সংযোগ স্থাপনে রাশিয়ার প্রচেষ্টায় বাধা দিচ্ছে ইউক্রেন। ডোনবাস অঞ্চলের লুহানস্কের গভর্নর শনিবার সকালে আরও বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।