কিয়েভে উড়ে গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন জনসন

আকস্মিক সফরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এমনকি যুদ্ধরত দেশটিতে গিয়ে জেলেনস্কিকে নিয়ে ঘুরেও বেরিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে এ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও তার এই সফরের খবর আগে কাক-পক্ষিও জানেনি।

সেন্ট্রাল ইউক্রেনের রাস্তায় একসঙ্গে হাঁটেন বরিস জনসন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি, ছবি-বিবিসি

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, এই সফরটি ইউক্রেনের জনগণের সাথে ‘সংহতি প্রদর্শন’। সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, কিয়েভকে সমর্থন করার অংশ হিসেবে ১২০টি সাঁজোয়া যান এবং জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাবে লন্ডন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ায় জেলেনস্কি ও তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে মস্কোর বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা দিতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দুই নেতার বৈঠক

বিবিসি বলছে, জনসনের কিয়েভ সফরের বিষয়ে আগাম ঘোষণা করা হয়নি এবং তিনি যে কিয়েভে গেছেন সেটি প্রথম প্রকাশ পায় যখন লন্ডনে অবস্থিত ইউক্রেনীয় দূতাবাস থেকে জেলেনস্কির সঙ্গে জনসনের সাক্ষাতের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করা হয়।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনের জনগণের সাথে সংহতি প্রদর্শনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে জেলেনস্কির সাথে দেখা করতে ইউক্রেন গেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জনসন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দৃঢ় নেতৃত্ব এবং ইউক্রেনীয় জনগণের অদম্য বীরত্ব ও সাহসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, ইউক্রেন প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে এবং কিয়েভের দরজা থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজ স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, যুক্তরাজ্য চলমান এই লড়াইয়ে লন্ডন দৃঢ়ভাবে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদে তাদের সঙ্গে আছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব সামরিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন বাড়িয়ে দিচ্ছি এবং এই ট্র্যাজেডির অবসান ঘটাতে এবং ইউক্রেনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে একটি বৈশ্বিক জোট আহ্বান করছি। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ঘোষণাও দেন জনসন।

এদিকে, জেলেনস্কি তার দেশের জন্য যুক্তরাজ্যের এই দৃঢ় ও গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মস্কোর ওপর চাপ জোরদার করার জন্য অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।