পিটিআই: আমাদের নেতা মাথা নত করেনি

অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইমরান খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে তার দল পিটিআইয়ের সদস্যবৃন্দ। দলটির নেতারা বলেছেন, ইমরান শেষ বল পর্যন্ত খেলেছেন। কারো কাছে মাথা নত করেননি। খবর জিও নিউজ।

ইমরান খান

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট এড়াতে নানা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল পিটিআই সরকার। কিন্তু গতরাতে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অনাস্থা ভোটে হেরে যান ইমরান। জাতীয় পরিষদের ১৭৪ জন সদস্য তার বিরুদ্ধে ভোট দিলে নির্ধারিত হয়ে যায় তার ভাগ্য। ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। সরকারি বাসভবন ছেড়ে নিজ বাড়িতে উঠেন ইমরান খান।

এর পরপরই টুইটারে পিটিআই নেতাদের অনেকেই ইমরান খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রায় সবাই তাদের টুইটে উল্লেখ করেন, দলীয় প্রধান শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছেন।

ইমরান খানের সাথে পিটিআই নেতৃবৃন্দ, ফাইল ছবি

অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার খবর শেয়ার করে সিনেটর ফয়সাল জাভেদ টুইটে লেখেন, তিনি শান্তভাবে বেরিয়ে গিয়েছেন এবং কারো কাছে মাথা নত করেননি।

ইমরানকে ‘পাকিস্তান খান’ সম্বোধন করে ফয়সাল জাভেদ আরো লেখেন, তিনি সমগ্র জাতিকে তুলে ধরেছেন। আমি একজন পাকিস্তানি হিসেবে গর্বিত এবং তার মতো নেতা পেয়ে ধন্য। পাকিস্তান খান - ইমরান খান।

সিনিয়র পিটিআই নেতা এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী তার টুইটে লেখেন, পাকিস্তানের জন্য দুঃখজনক দিন। লুটেরারা ফিরে আসলো এবং একজন ভালো লোককে বাড়িতে ফেরত পাঠালো।

আসাদ উমরের টুইট ছিল এমন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি ইমরান খানকে দেশের উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল, কিভাবে পাকিস্তানকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তোলা যায় এবং পাকিস্তানের জনগণকে উন্নত জীবন দেওয়া যায়। আল্লাহ আপনাকে জাতির নেতা হিসেবে সেবা করার জন্য আরো বেশি যোগ্য ও শক্তিশালী করে দিন।

দলের আরেক নেতা শাহবাজ গিল তার টুইটে উল্লেখ করেন, ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর হাউজ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তিনিই ছিলেন শেষ ব্যক্তি। ইমরান খানকে সাহসী আখ্যা দিয়ে তিনি তার টুইটে উল্লেখ করেন, এমন সাহসী ব্যক্তির সাথে কেউ কখনও অবিশ্বস্ত হতে পারে না। তিনি কখনোই ইমরান খানকে ছেড়ে যাবেন না।

ইমরান খান ১৮ আগস্ট, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।