ইমরানকে ডেকেছিলেন জিয়াউল হক, নওয়াজ শরিফ

১৯৯২ সালে অসম্ভবকে সম্ভব করে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ইমরান খান। রাজনীতিতে নেমেছিলেন তার ঠিক চারবছর পর ১৯৯৬ সালে। অবশ্য এর আগেই তিনি রাজনীতিতে ডাক পেয়েছিলেন। সাড়া না দিয়ে তিনি নিজেই একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেন। ধীর্ঘ ২২ বছর পর সাফল্য পান। অবশ্য তিনবছরের মাথায় উল্টোপিঠও দেখতে হয়েছে তাকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ইমরান খান

জানা গেছে, বিশ্বকাপ জেতার অনেক আগেই তাকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথম প্রস্তাবটি এসেছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের পক্ষ থেকে। তিনি ইমরানকে পাকিস্তান মুসলিম লিগে (পিএমএল) যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও ইমরানকে তাঁর দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে কাউকেই সাড়া দেননি ইমরান খান।

১৯৯৬ সালে নিজেই রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তেহরিক-ই-ইনসাফ নামের দলটি শুরুতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ১৯৯৭ ও ২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে খুব বাজেভাবে পরাজয় বরণ করে ইমরানের নেতৃত্বাধীন দল।

বিশাল জনসভায় ইমরান খান

কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কট করেন তিনি। ২০১৩ সালের নির্বাচন থেকে পিটিআইকে গোনায় ধরতে হচ্ছিল। সে সময় পাকিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয় পিটিআই। সে নির্বাচনে ভোটের হিসেবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং আসনের হিসেবে তৃতীয় বৃহত্তম দল বিবেচিত হয় ইমরানের দল।

২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের দল উঠে আসে দেশের বৃহত্তম দল হিসেবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইমরান তরুণদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ১৪৯টি আসনে জয়ী পিটিআই শরিকদের সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করে। তাছাড়া পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া, গিলগিট বালতিস্তান ও কাশ্মির অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খানের দল এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ।

গতরাতের অনাস্থা ভোটে ইমরানের সরকার এখন গদিচ্যুত। কেউ বলছে ইমরান বোল্ড আউট, কেউবা বলছেন রান আউট। যেটাই হোক না কেন, তার দল এই মুহূর্তে ক্ষমতায় নেই, এটাই সত্য কথা। তবে ক্রিকেটার ইমরানের কাছে এটা একদিনের ম্যাচ, না টেস্ট ম্যাচ (যার দ্বিতীয় ইনিংসে আবার নামার সুযোগ আছে) তা সময়েই বলে দেবে।