মারিওপলে জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের শঙ্কা যুক্তরাজ্যের

ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিওপল শহরের জন্য লড়াই তীব্র হয়েছে। যুক্তরাজ্য শঙ্কা প্রকাশ করেছে, শহরটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে ফসফরাস (জীবাণু) অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার কাজে লাগাতে পারে রাশিয়া। আজ সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের অস্ত্র ইতোমধ্যে ডোনেস্ক অঞ্চলে ব্যবহার করা হয়েছে। বিবিসি।

মারিওপলে ধ্বংসযজ্ঞ, ফাইল ছবি

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) মতে, আহতদের জখমের তীব্রতার বিষয়টি লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সম্ভবত ফসফরাস অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী। ফসফরাস বোমাগুলো আগুনের অস্ত্রের মতোই কার্যকর, যেগুলো আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবহার নিষিদ্ধ।

ব্রিটেন আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার হাতে আবারও বেসামরিক হতাহতের বড় ঝুঁকি রয়েছে। কারণ আইন লঙ্ঘন করে ফসফরাস বোমার ওপর অবিরত নির্ভরতা ভালো লক্ষণ নয়। পূর্ব ডোনেস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করেছে।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

সর্বশেষ পরিস্থিতি: রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভ বলেছেন, শুধু মারিওপল নয়, রাজধানী কিয়েভ এবং ইউক্রেনের অন্যান্য শহরেও আক্রমণ চালানো হবে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যখন উত্তর-পূর্বের খারকিভ এবং দক্ষিণে মারিওপল শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে, তখনই কাদিরভের এমন বক্তব্য এল।

রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনে পণ্য প্রবাহ ব্যাহত করার জন্য পরিবহন অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এ বছর ইউক্রেনের অর্থনীতি ৪৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আনা বজেরদে বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য অবিলম্বে ব্যাপক আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা করলেও ভুল স্বীকার করতে ভয় পায়। তার উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক জাতীয় টিভিকে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

জেলেনস্কি বলেছেন, বিশ্বনেতারা যদি তার সাথে দেখা করতে চান তাহলে তারা যেন মস্কোর বাহিনীকে পরাজিত করতে সহায়তা করে। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেডিক্টোভা বলেছেন, কিয়েভ অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষের লাশ পাওয়া গেছে। তার মতে, রাশিয়ান বাহিনী প্রতিদিন ইউক্রেনীয়দের হত্যা করছে।