ইমরান: চোরদের সঙ্গে বসব না

অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গেলেও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খানের এমপি পদ ঠিকই ছিল, তার দলের সবার পদও ঠিকই অক্ষুণ্ন থাকতো। কিন্তু শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন ইমরান ও তার দলের অন্যান্যরা। জানিয়ে দেন, চোরেদের সাথে একই পার্লামেন্টে বসবেন না তারা। খবর এনডিটিভি।

ইমরান খান

এক ভিডিও বক্তৃতায় ইমরান খান বলেন, যার বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপি এবং ৮০০ কোটি রুপির দুটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে, তাকেই কি না বানানো হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। দেশের জন্য এর চেয়ে বড় অপমান হতে পারে না।

বক্তৃতায় ইমরান খান আরো জানিয়েছেন, পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি চোরেদের অর্থাৎ নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে বসতে পারবেন না। ইমরান খানের পদত্যাগপত্র পিটিআইয়ের টুইটারেও প্রকাশিত হয়েছে। পিটিআইয়ের অন্য সদস্যরাও পদত্যাগ করবেন বলেন একাধিক খবরে বলা হয়েছে।

পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

গতকাল সোমবার বিকেলে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর নেতা শাহবাজ শরিফকে নির্বাচিত করে। ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শাহবাজের পক্ষে পড়ে ১৭৪টি ভোট। পিটিআই সদস্যরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তারা ভোটাভুটিতে অংশই নেননি।

৬৯ বছর বয়সী শাহবাজ শরিফ এর আগে তিনবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে শাহবাজের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একাধিক বিয়ে এবং লন্ডন ও দুবাইয়ে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানার জন্যও তিনি অনেকবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। 

পিটিআইয়ের সবার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেন, অ্যাসেম্বলিতে তাদের অবস্থান করাটা শেহবাজ শরিফকে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলবে, তাই জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার গভীর রাতে দেশটির জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়, তাতে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খানের সরকার।