চারমাসে লাসা জ্বরে ১৩২ মৃত্যু

নাইজেরিয়ার ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে লাসা জ্বরের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ কমাতে পরিবেশগত স্যানিটেশন প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২৩টি রাজ্যে লাসা জ্বরের ৬৮১টি আক্রান্তের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৩২ জন মারা গেছেন। অল আফ্রিকা নিউজ।

লাসা জ্বর

খবরে বলা হচ্ছে, কলেরা, লাসা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে পরিবেশগত স্যানিটেশন প্রয়োগ করা নিশ্চিত করবে দেশটির সরকার। পাশাপাশি নাগরিকদের বহনযোগ্য, নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের আহ্বান জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিক্রিয়া এবং উন্নয়নের হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আযোজিত এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ওলোরুনিম্বে মামোরা বলেন, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭১ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। পিসিআর বা র‌্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট (আরডিটি) লাগোস রাজ্যে বাড়ানো হয়েছে। কাদুনা, কোয়ারা এবং নদী এই তিন রাজ্য কোভিড স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। অন্য রাজ্যগুলোতে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন।

নাইজেরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) রিপোর্ট মতে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৮ জন নাইজেরিয়ান ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি এপ্রিলের শেষে সিকোয়েন্সিং স্কেল করার পরিকল্পনা নিয়েছে ফেডারেল সরকার।

এদিকে লাসা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ জ্বরে বর্তমান মৃত্যুর হার ১৯ দশমিক এক শতাংশ। ইতোমধ্যে ২৩ রাজ্যে ৩ হাজার ৭৪৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের।

এনপিএইচসিডিএ নিশ্চিত করেছে, জাতীয়ভাবে যারা করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ নিতে পেরেছে।

ভ্যাকসিনের অপচয়ের হার কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটির সরকার। ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ৫০ শতাংশ জনসংখ্যাকে টিকা আওতায় আনতে হবে। টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ৭৬ হাজার।

এদিকে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে এনসিডিসির মহাপরিচালক ড. ইফেদায়ো আদেতিফা বলছেন, আমরা চাই না, নাইজেরিয়া ২০২২ সালে আবার সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেরা আক্রান্তের দেশ হিসাবে রেকর্ড করুক।