জেলেনস্কির সাথে চার দেশের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টরা গতকাল বুধবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তারা ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। খবর রয়টার্স ও আনাদোলু।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ প্রেসিডেন্ট

রুশ বাহিনী ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা ট্রেনে করে ইউক্রেনের রাজধানীতে ছুটে আসেন। জেলেনস্কির সাথে দেখা করার আগে চার প্রেসিডেন্ট রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। রুশ বাহিনী ছেড়ে যাওয়ার পর এসব এলাকায় শত শত নিহত বেসামরিক নাগরিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। পশ্চিমা বিশ্ব একে গণহত্যা বলে আখ্যা দিলেও মস্কো এর দায় অস্বীকার করে বলেছে, এগুলো সাজানো ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।

জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাতের পর তারা কিয়েভে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হন। এতে পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা বলেন, এটি যুদ্ধ নয়, সন্ত্রাসবাদ। আমরা শুধু সেই সৈন্যদের কথা বলছি না যারা এই অপরাধ করেছিল, বরং যারা এর আদেশ জারি করেছিল, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

হাতে হাত রেখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে চার প্রেসিডেন্টের একাত্মতা প্রকাশ

লাটভিয়ান প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস বলেন, ইউক্রেনকে সব ধরনের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য। লিথুয়ানিয়ান প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রেই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে। আর তাই ইউক্রেনকে জিততে হবে। এস্তোনিয়ান প্রেসিডেন্ট অ্যালার কারিস বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবশ্যই এই যুদ্ধে হারতে হবে নতুবা ইউরোপে শান্তি থাকবে না।

এ সময় জেলেনস্কি বলেন, আমি এই মহান দেশের মহান নেতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা সর্বদা আমাদের সাথে, সর্বদা ইউক্রেনের পক্ষে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রথম থেকেই তারা আমাদের সাথে আছেন। এই চার নেতা সর্বদা আমাদের রক্ষা করছেন। এ চার দেশই প্রথম ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে।

‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই চার দেশ ইউক্রেনের ভবিষ্যতের সমস্ত পাতায় প্রথম হবে। আমাদের একটি দুর্দান্ত ভবিষ্যত আছে, কারণ এ ধরনের অংশীদার এবং বন্ধুদের সাথে আমরা অবশ্যই জিতব। ইউক্রেনের জন্য এই কঠিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সফরের জন্য আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ।’

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হঠাৎ করেই কিয়েভে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাৎ করেন।