যে কারণে ১৮ দেশের ৭৬ জাহাজ আটকে রেখেছে ইউক্রেন

ইউক্রেনের বড় বড় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরে আটকে আছে ১৮ দেশের ৭৬ জাহাজ। কারণ সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে উচ্চ বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন মাইন। জাহাজগুলোকে বন্দর ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছে না ইউক্রেনের বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বসফরাস প্রণালীতে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ, সাম্প্রতিক ছবি

মাইন পাতা এলাকাগুলোতে জাহাজ চলাচল করলেই ঘটবে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। রাশিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিন্তসেভ শনিবার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।

মিজিন্তসেভ বলেন, রুশ সৈন্যদের ঠেকাতে কৃষ্ণ সাগর, আজভ সাগর ও ভূমধ্যসাগরে মাইন পেতে রেখেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এজন্য দেশটির বিভিন্ন বন্দরে ১৮টি দেশের ৭৬টি জাহাজকে বন্দর ত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছে না ইউক্রেন। সমুদ্রে থাকা মাইনগুলো যদি স্রোতের কারণে সরে গিয়ে সাগর তীরবর্তী কোনো দেশের তীরে ভেড়ে, সে ক্ষেত্রে বড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কিয়েভে সামরিক কারখানায় রাশিয়ার হামলা, ছবি- বিবিসি

কোথাও কোথাও আবার ভাসমান মাইনও পুঁতে রেখেছে দেশটির নৌবাহিনী। ভাসতে ভাসতে দু-একটাকে তুর্কি উপকূলের কাছেও দেখা গেছে। এদিকে, আটকে থাকা জাহাজসমূহকে ছাড়পত্র দিতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহন সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করলেও দ্রুত এসব জাহাজকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে- এমন কোনো আশ্বাস এখনো তাদের দিতে পারেনি কিয়েভ।

দীর্ঘসময় ধরেই ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে আটকে আছে এই বাণিজ্যিক জাহাজগুলো। অবশ্য কৃষ্ণসাগর, আজভ সাগর ও ভূমধ্যসাগরে জাহাজ চলাচলের পথ নিরাপদ করতে ইতোমধ্যে রাশিয়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন এই রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। ইউক্রেনে রুশ হামলার ৫২ দিন পড়েছে শনিবার।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়রা একত্রিত হয়ে অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এমনকি রুশ বাহিনীর নৃশংসতার মুখেও দেশ ও দেশের বাইরেও লড়ছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। কিভাবে রুশ আগ্রাসনের জবাব দেওয়া যায় তা নিয়ে লড়াই করছে দেশটি। ইউক্রেনের এই সফলতা নিয়ে কিছু দেশ অন্যদের চেয়ে বেশি দ্বিধায় রয়েছে।