এবার উসমানীয় সাম্রাজ্যের মাদরাসা উদ্বোধন করলেন এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে আয়া সোফিয়া ফাতিহ মাদরাসা উদ্বোধন করেছেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের সময়কালে এটি নির্মিত হয়েছিল। পরে মাদরাসাটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। শুক্রবারের উদ্বোধনের পর এখন আবারো শিক্ষাদানের কাজ শুরু হবে প্রাচীন এই দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। খবর আনাদোলু।

আয়া সোফিয়া ফাতিহ মাদরাসা উদ্বোধন করেন এরদোয়ান

ঐতিহ্যবাহী এই মাদরাসাটির অবস্থান আয়া সোফিয়া মসজিদের ঠিক পাশে। সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদকে দেয়া ফাতিহ বা বিজেতা উপাধি থেকে এর নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি ১৪৫৩ সালে শহরটি জয় করেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানীতে এটি ছিল প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

গত শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া ফাতিহ মাদরাসা উদ্বোধনকালে বলেন, আমরা আমাদের মহৎ অতীতকে বর্তমান ও ভবিষ্যতে নিয়ে যেতে এবং আমাদের জনগণের সাথে একত্রিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর, এই স্থানটিতে আয়া সোফিয়ার পাশে শহরের প্রথম মাদরাসা হিসাবে এর কার্যক্রম শুরু করেছিল।

মাদরাসাটির অভ্যন্তর

এরদোয়ান বলেন, বিভিন্ন সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও নির্মাণের মাধ্যমে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত মাদরাসাটির কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু পরে যারা দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন তারা এটি ভেঙে দেন। এখন এটি আবার শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, পরিচালিত হবে ফাতিহ সুলতান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা। ফাতিহ মাদরাসায় নতুন ভবনটি কাঠ ও ধাতব স্থাপত্যের মিশ্রণে তৈরি। ১ হাজার ৪৭৩ বর্গ মিটার বা ১৫ হাজার ৮৫৫ বর্গফুট জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠানটি নির্মিত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে এরদোয়ান আরো বলেন, আয়া সোফিয়া ফাতিহ মাদরাসা প্রায় সাড়ে চার শতাব্দী ধরে অগণিত আলেম তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আমি আশা করি, এখন আবারো আগামীর পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আয়া সোফিয়া ৫৩২ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং সপ্তম সুলতানের বিজয়ের পরে এটিকে মসজিদে পরিণত করা হয়। এটি একটি গির্জা হিসাবে ৯১৬ বছর এবং ৮৬ বছর একটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে ১৪৫৩ থেকে ১৯৩৪ বা প্রায় ৫০০ বছর এটি মসজিদ হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৫ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়।

আয়া সোফিয়া তুরস্কের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্যগুলোর অন্যতম এবং এটি দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।