আইএমএফের ঋণ পেতে ওয়াশিংটনে শ্রীলঙ্কান প্রতিনিধি দল

জরুরি ঋণ সহায়তা পেতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা করতে শ্রীলঙ্কা সরকারের একটি প্রতিনিধি দল সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছেন। আলোচনা সফল হলে শ্রীলঙ্কা প্রায় ৪০০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কায় সরকাবিরোধী বিক্ষোভ

শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আলি সাবরি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ডক্টর নন্দলাল বীরাসিংহে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহিন্দা সিরিবর্ধন রোববার সকালে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে কলম্বো ত্যাগ করেছেন। তারা আগামী মঙ্গলবার থেকে রোববার পর্যন্ত (১৯-২৪ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকা আইএমএফ সদর দপ্তরে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এদিকে, পৃথক খবরে জানা গেছে, খাদ্য, জ্বালানি ও জরুরি পণ্যের মূল্য পরিশোধের সুবিধার্থে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে অনাবাসী শ্রীলঙ্কানদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সরকার।

শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে বলেছেন, জাতির এই ক্রান্তিকালে অতীব জরুরি বৈদেশিক মুদ্রা দানের মাধ্যমে বিদেশে থাকা শ্রীলঙ্কানরা দেশের পাশে দাঁড়াবেন বলে আমরা আশা করছি। শ্রীলঙ্কা সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলে অনুদানের সুবিধার্থে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জার্মানিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের পাঠানো অর্থ কেবল সবচেয়ে জরুরি খাতে ব্যবহার করা হবে- এই মর্মে সবাইকে আশ্বস্ত করেন বীরাসিংহে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশে স্থানান্তরিত বৈদেশিক মুদ্রা শুধু খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো অতি জরুরি পণ্য আমদানিতে ব্যয় হবে- মর্মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবাইকে আশ্বস্ত করছে।

সরকারের এমন আবেদনে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসী শ্রীলঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী এক শ্রীলঙ্কান ডাক্তার পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে দি আইল্যান্ডকে বলেন, সাহায্য করতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু এই সরকারের হাতে আমরা নিজেদের টাকা-পয়সা নিরাপদ মনে করি না।