মহারাষ্ট্রে মাইকে আজান দিতে পুলিশের অনুমতি লাগবে!

ভারতের মহারাষ্ট্রে নতুন এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজ্যের সব স্থানে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করার জন্য বাধ্যতামূলক পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। মুসলমানদের প্রাত্যাহিক নামাজের অনুষঙ্গ আজানও এর আওতায় পড়বে। গতকাল সোমবার এ নির্দেশনা জারি হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

মসজিদের মাইকে আজান দিতে অনুমতি লাগবে

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালস পাতিলের মধ্যে আলোচনার পর এ ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সমস্ত ধর্মীয় স্থান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়মসীমার মধ্যে রাখতে হবে। এ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

ওয়ালস পাতিল সবাইকে সতর্ক করে বলেন, আইনত অনুমোদিত সীমার মধ্যে যাতে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং লঙ্ঘনকারীদের কঠোর আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে

পুলিশ কমিশনার দীপক পান্ডে বলেছেন, লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বা ভজন বাজানোর জন্যও অনুমতি নিতে হবে এবং আজানের আগে এবং পরে ১৫ মিনিটের মধ্যে এ অনুমতি দেওয়া হবে না।

মসজিদের ১০০ মিটারের মধ্যেও অনুমতি দেওয়া হবে না। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, বলেন পুলিশ কমিশনার।

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) সভাপতি রাজ ঠাকরে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা হঠাৎ করেই মসজিদগুলোতে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করে। রাজ ঠাকরে ৩ মে রাজ্য সরকারকে একটি আল্টিমেটাম দেন, যেখানে সবগুলো মসজিদের লাউডস্পিকার সরিয়ে নেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়। আরো বলা হয়, সরকার এতে ব্যর্থ হলে, এমএনএসের কর্মীরাই প্রতিশোধ হিসেবে মসজিদের বাইরে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজাতে থাকবে।

বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে রাজ ঠাকরে গত রোববার স্পষ্ট করেন, তিনি ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে নন। সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত প্রভাব ফেলে, তাই তিনি লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরোধিতা করছেন ।