মাখোঁর পক্ষে তিন নেতার নজিরবিহীন পদক্ষেপ, ‘ক্ষুব্ধ’ রাশিয়া
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রোববার অনুষ্ঠেয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর পক্ষে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন ইউরোপের তিনটি দেশের সরকারপ্রধান। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা ফরাসি ভোটারদের প্রতি রক্ষণশীল প্রার্থী মারিন লো পেনকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন মাখোঁ ও লো পেন
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লো মঁদে যৌথভাবে লেখা এক উপ-সম্পাদকীয়তে তিন নেতা মারিন লো পেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। রক্ষণশীল এ রাজনীতিক ‘গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে আঁতাত করছেন’ অভিযোগ তুলে তারা লিখেছেন, ‘আমরা আশা করি, ফ্রান্সের ভোটাররা ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁকে বেছে নিবেন।’
ওলাফ শোলজ, পেদ্রো সানচেজ ও আন্তোনিও কস্তা তাদের নিবন্ধে লেখেন, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটগ্রহণ আমাদের জন্য অন্য নির্বাচনগুলোর মতো নয়। এ নির্বাচন হচ্ছে একজন গণতন্ত্রপন্থী প্রার্থী যিনি একটি মজবুত স্বেচ্ছাধীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে ফ্রান্সকে শক্তিশালী মনে করেন এবং একজন কট্টর ডানপন্থী প্রার্থী যিনি আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি আক্রমণকারীদের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন- এ দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার প্রশ্ন।’
ওলাফ শোলজ, পেদ্রো সানচেজ ও আন্তোনিও কস্তা
তিন নেতা আরও লেখেন, ‘আমাদের প্রয়োজন এমন ফ্রান্স, যেটা ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে এবং (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো একনায়কের বিরোধিতা করবে। আমরা আশা করছি, ভোটাররা এমন ফ্রান্সকেই বেছে নেবে।’
এদিকে ফরাসি নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন ইউরোপীয় নেতার নিবন্ধে তীক্ষ্ম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক পোস্টে লিখেছেন, ‘জার্মান চ্যান্সেলর, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী ও পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন তা দেখে দুটি প্রশ্ন মাথায় আসছে: একটি দেশের প্রেসিডেন্ট আরেক দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে সেটা কি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে না? জেন্ডার ব্যালেন্সের কি খবর, নাকি, ক্ষমতার প্রতি হুমকি এলে জেন্ডারের কথা মনে থাকে না?’
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমানুয়েল মাখোঁর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন মারিন লো পেন। চার বছর আগের তুলনায় এবার অনেকটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন কট্টরপন্থী লো পেন। সারা দেশে একের পর এক সমাবেশ ও জনসংযোগের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের ব্যবধান অনেকটা কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছেন বলে জনমত জরিপে দেখা যায়। প্রথম দফা ভোটের ফলাফলে মাখোঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা লো পেন বুধবারের বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে গেছেন বলে জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে এক তাৎক্ষণিক জরিপে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাখোঁ ৫৫ ভাগ জনসমর্থন নিয়ে লো পেনের বিপরীতে স্পষ্টত: শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
তবে বৃহস্পতিবারের দৈনিকে প্রকাশিত তিন বিদেশি নেতার নিবন্ধ ফরাসি ভোটারদের মনে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন লো পেনের ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতারা। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিলিপ্পে ভাদোন নিবন্ধ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ক্রীড়াবিদ হোন, ধনাঢ্য শিল্পি হোন অথবা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান হোন, এমন নীতিবাক্য প্রায়শ ভোটারদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এরা কেউ ফরাসি জনগণের সত্যিকার জীবনযাত্রা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপের অন্যান্য সরকারগুলো আমাদের সমর্থন করছে। তারা খুব খুশি হবেন যদি মারিন লো পেন জিতেন এবং (ইইউর পরিবর্তে) একটি ‘ইউরোপ অব দ্য ন্যাশনস’ গঠনের প্রকল্প এগিয়ে নেবেন।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.