ইরান সফরে যাচ্ছে তালেবান প্রতিনিধিদল

ইসলামিক এমিরেট আফগানিস্তান এবং ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধের বিষয়ে আলোচনার জন্য শিগগির একটি তালেবান প্রতিনিধিদল তেহরান যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন তালেবানের শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খলিলুর রহমান হাক্কানি। সীমান্ত সংঘর্ষ এবং শরণার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগসহ ইরান-আফগান সীমান্ত ঘিরে সংকট সমাধানের লক্ষ্য থাকবে এই সফরে। টোলো নিউ, দ্য নিউ আরব।

আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্ত, ফাইল ছবি

গত সপ্তাহান্তে হেরাতের পশ্চিমে ইসলাম কালা জেলায় ইরানি সীমান্তরক্ষী এবং স্থানীয় আফগান বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর এই সফরের ঘোষণা এলো। ওই সংঘর্ষের সময় তালেবান বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে সমন্বয় ছাড়াই রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ এনেছিল।

ইসলাম কালা জেলার ডেপুটি কমিশনারের মতে, আফগান কর্তৃপক্ষ ইরানি বাহিনীর একটি গাড়িও জব্দ করেছে। এ ঘটনার পর থেকে উভয়পক্ষ তাদের সীমান্ত বাহিনীকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। হাক্কাানি বলছেন, আফগানিস্তান-ইরান সেসব সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে সেসব নিয়ে কথা বলার জন্য ইরানে যেতে হচ্ছে। আমরা আশা করি, আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে পারব।

ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শরণার্থী সংকট

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সীমান্তে বিরোধ উদ্বেগের বিষয়। তেহরান আফগান সীমান্তরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইরানের শাগালাক এবং আফগানিস্তানের নিমরোজ উৎসবের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।

অতি সম্প্রতি আফগান শরণার্থীদের ইরানি রক্ষীরা মারধর করে। মারধরের ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়লে হেরাত এবং কাবুলে ইরানি কনস্যুলেটের বাইরে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় আফগানিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ইরান।

আফগানিস্তানের নতুন তালেবান প্রশাসনকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি তেহরান। যাইহোক, খতিবজাদেহ সোমবার জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ঘোরাফেরার সক্ষমতা দেওয়া উচিত। তিনি স্বীকৃতির বিষয়টি ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন। স্বীকৃতি পেতে হলে অবশ্যই শর্তগুলো পূরণ করবে।