প্রথমবারের মতো ভয়াবহ লোকসানের মুখে অ্যামাজন!

ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের অনলাইন বিক্রি কমে গেছে। ক্রমবর্ধমান খরচ অ্যামাজনকে ২০১৫ সালের পর প্রথম লোকসানের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে অনলাইন বিক্রয় ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মহামারিকাল শুরুর পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়। কোম্পানিটি বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবিসি।

প্রথম প্রান্তিকে ভয়াবহ লোকসানের মুখে অ্যামাজন

খবরে বলা হচ্ছে, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং বিজ্ঞাপনসহ অ্যামাজনে ব্যবসার অন্যান্য অংশে প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী ছিল। কিন্তু এটি ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বেচাকেনায় রীতিমতো লড়তে হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে অ্যামাজন ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের লোকসানের কথা জানিয়েছে। যার বেশিরভাগই বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল।

আসন্ন মাসগুলিতে বিক্রয় বৃদ্ধির ৩ শতাংশের মতো কম হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এমনকি মহামারির আগে থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাবেই মূলত এমনটা হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেছেন, ইউক্রেনে মহামারি এবং পরবর্তী যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। আমরা ‘চলমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সরবরাহ চেইন চাপ’সহ বর্ধিত ব্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি।

কোম্পানির ক্লাউড-কম্পিউটিং বিভাগ অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস পরিচালিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক বিক্রয় বছরে ৭ শতাংশ বেড়ে ১১৬.৪ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ওয়েব সার্ভিস আয় বছরে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এই সময় বিজ্ঞাপনের আয়ও শক্তিশালী ছিল, তা বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

কিন্তু অন্যত্র প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য মন্দা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এর আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিক্রি ৬ শতাংশ কমে গেছে। ব্যয়ও দ্রুত বাড়ছে। নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতি ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় যোগ করেছে, এতে ফার্মের ব্যয়ও বেড়েছে।

এদিকে, শ্রমের ঘাটতির মুখে কর্মীদের আকৃষ্ট করার জন্য মজুরি বাড়িয়েছে অ্যামজন। ইতোমধ্যে উচ্চ জ্বালানির দাম অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের জন্য ডেলিভারি খরচ আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে। অ্যামাজন বলছে, কোম্পানির প্রাইম পরিষেবার দাম প্রথমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে। এই পরিষেবার মধ্যে রয়েছে- দ্রুত শিপিং, বর্ধিত মজুরি এবং শিপিং খরচ।

আফটার-আওয়ার ট্রেডে অ্যামাজনের শেয়ার ১০ শতাংশের বেশি হারিয়ে গেছে। এ কারণে অন্যান্য অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মনেও ভয় ঢুকে গেছে।