বাইডেন-ট্রুডো ফোনালাপ, নতুন মার্কিন সহায়তা ঘোষণা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। অপরদিকে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে। বাইডেন-ট্রুডো দুজনেই মনে করছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার হামলা এককভাবে দায়ী। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জো বাইডেন ও জাস্টিন ট্রুডো

এ সময় তারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই প্রচেষ্টার ব্যাপারেও কথা বলেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিতব্য আমেরিকার শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন বাইডেন-ট্রুডো।

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সহায়তা ঘোষণা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার আরেকটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। নতুন এ প্যাকেজটি ১৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের। ঘোষণাটি এমন সময় এল, যখন মারিওপলের অবরুদ্ধ স্টিল কারখানা থেকে কয়েকশ বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখানেই রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ

বাইডেন বলেছেন, সর্বশেষ মার্কিন সহায়তা প্যাকেজে ইউক্রেনের সাহসী যোদ্ধাদের জন্য আর্টিলারি যুদ্ধাস্ত্র এবং রাডার দেওয়া হয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্যাকেজে শত্রুবাহিনীর হামলা প্রতিহত করার জন্য কাউন্টার আর্টিলারি রাডার এবং ইলেকট্রনিক জ্যামিং সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ নিয়ে মার্কিন সহায়তার মোট পরিমাণ দাঁড়াল ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কংগ্রেসকে আরও ২০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তাসহ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল প্যাকেজ অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে শক্তিশালী করতে এই সহায়তা কাজে লাগানো হবে।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে শরণার্থীরা। এই শরণার্থী সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই।