রাইসি: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের তেল রপ্তানি দ্বিগুণ

রাষ্ট্রায়ত্ত চ্যানেল আইআরআইবিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান এখন আর তেল বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। আগস্টে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করার সময় যে পরিমাণ তেল বিক্রি হতো, এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

দেশটির পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জাভেদ ওউজির মতে, সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ইরানের তেল রপ্তানি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এর জন্য তাদের ভিয়েনা আলোচনার ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি।

তেল বিক্রিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কথা উল্লেখ করে ওউজি আরো বলেন, ইরান এমন জায়গায় তেল নিয়ে গেছে, যেটা মার্কিনিরা ভাবতেও পারবে না।

ইরানের তেলবাহী একটি জাহাজ, ফাইল ছবি

ভিয়েনা আলোচনার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞার চাপ কমিয়েছে- এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইরান জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এখন আগের চেয়ে বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। এখন তারা বিভিন্ন সময় ইরানের তেলের জাহাজ দখলের চেষ্টা করে।

ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির (এনআইওসি) সিইও মোহসেন খোজাস্তেহমেহর জানান, গত আগস্টে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার সময়ের তুলনায় এখন ইরানের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি ৪০ শতাংশ বেড়েছে এবং গ্যাস কনডেনসেট বিক্রি বেড়েছে ২৫০ শতাংশ। একই সাথে তেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবারই ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০৫ ডলারের উপরে উঠেছিল। এর ফলে নিশ্চিতভাবেই আশাতীত লাভ করছে তেহরান।

ইরান সরকার প্রতিবেশীদের সাথে বাণিজ্য বাড়িয়েছে। এর ফলস্বরূপ প্রেসিডেন্ট রাইসি গত সোমবার বলেন, ইরানের বৈদেশিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে, যা অতীত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিসংখ্যান।

পুরো বিশ্ব যখন খাদ্যপণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যোগান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, তখন ইরানের প্রেসিডেন্ট জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, মৌলিক পণ্যের মজুদ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। জনগণের জীবনযাত্রায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।