জেলেনস্কি: সব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেই লড়াই থামাবে কিয়েভ

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সম্পূর্ণ আঞ্চলিক ঐক্য পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে কিয়েভ। যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হবে সবাই যখন এ প্রশ্নের উত্তর পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তখন জেলেনস্কির পক্ষ থেকে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল। খবর আনাদোলু।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্রান্সের সায়েন্সেস পো, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক সার্ভিস, ইকোল পলিটেকনিক, ইনালকো এবং প্যান্থিয়ন-সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে গতকাল বুধবার জেলেনস্কি এ কথা বলেন।

‘জেলেনস্কির সাথে ৬০ মিনিট’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ফ্রান্সের ইউক্রেনীয় দূতাবাস। যুদ্ধ কীভাবে শেষ হতে পারে সেই বিষয়ে এক ছাত্রের প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, যখন আমরা আমাদের আগের সব ঐক্য, আমাদের আগের সব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করব তখন ইউক্রেনের এই যুদ্ধ শেষ হবে। বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের সাথে একীভূত না হওয়া পর্যন্ত কিয়েভ রাশিয়ান বাহিনীর সাথে লড়াই করে যাবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলগুলো ২০১৪ সালে ভেঙে যায় এবং মস্কো সম্প্রতি এ দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

জেলেনস্কি ওই অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের শরণার্থীদের ব্যাপারে ইউরোপকে আশ্বস্ত করে করে বলেন, ইউক্রেনীয়দের ব্যাপক হারে স্থানচ্যুতি সাময়িক এবং তাদের অভিবাসীদের বড় ঢেউ নিয়ে ভয় পাওয়া ঠিক হবে না। যুদ্ধ শেষ হলেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়া এ যুদ্ধে ইউক্রেন থেকে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ তালিকায় রাশিয়াও আছে।

জেলেনস্কির নিশ্চিত করে বলেন, ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দিত, তাহলে এই যুদ্ধ হতোই না।

ন্যাটোতে যোগ দিতে না পেরে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনকে যুক্ত করার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। ইউরোপীয় ইনিউন, ইইউ কিয়েভের আবেদনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কঠোর নিয়মনীতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংস্থায় যুক্ত হতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।

তবে বিষয়টি নিয়ে জেলেনস্কি বলছেন, তার দেশকে ইইউর সদস্যপদ থেকে দূরে রাখা যাবে না।

অনুষ্ঠানে জেলেনস্কি ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন এবং সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।