জেলেনস্কি: ন্যাটোভুক্ত হলে হামলার সাহস পেত না রাশিয়া

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ আগে থেকেই ন্যাটোর সদস্য হলে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ ঠেকানো যেত। কোনো যুদ্ধ হতো না। একটি ভিডিও বার্তায় ফরাসি ইউনিভার্সিটি সায়েন্সেস পো-এর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জেলেনস্কি

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি সংঘাতের অবসান কল্পনা করার আগে দেশটির ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে চাই। এখনও মস্কোর সাথে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। যখন আমরা দখলীয় সব এলাকা পুনরুদ্ধার করব, তখনই যুদ্ধ শেষ করব।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলে আসছিলেন, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকিতে রয়েছে ইউক্রেন। এজন্যই মূলত প্রতিবেশীর দেশটির বিরুদ্ধে মস্কোর আক্রমণ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই হামলা শুরু হয়েছিল, যা ১১ সপ্তাহে গড়িয়েছে।

মারিওপোল শহর থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ

মারিওপোল শহরের মেয়রের উপদেষ্টা পেট্রো আন্দ্রিউশচেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী শহর থেকে বের হওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েক সপ্তাহের বোমা হামলায় বসবাসের উপযোগী মাত্র কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং রয়েছে। নাগরিকরা খাবার বা পানীয় জলের ব্যাপক সংকটের মুখে রয়েছে।

আন্দ্রিউশচেঙ্কো বলেন, কিছু বাসিন্দা যারা শহরে থেকে গেছে তারা খাবারের বিনিময়ে রাশিয়ান দখলদার বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করছে।

সবশেষ পরিস্থিতি

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়াকে বিশ্বব্যবস্থার জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন। বার্ষিক আলোচনার অংশ হিসেবে টোকিওতে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি চীনের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ককে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে তুলে ধরেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সাথে এক নিরাপত্তা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন। দেশ দুটির সামরিক বাহিনী আক্রমণের শিকার হলে তাদের সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি জানা যায়, দেশ দুটি ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটে যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। এ কারণেই বরিস জনসনের এই সফর।