তেল শোধনাগারে বিমান হামলা, মারিওপোলে আটক ৩ হাজার!

ইউক্রেনের মধ্য পোলতাভা অঞ্চলে ক্রেমেনচুক তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে হামলা করেছে রাশিয়া। এসময় বিমান থেকে ৪ বার হামলা চালানো হয়। ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক গভর্নর দিমিত্রো লুনিন একটি টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, হামলার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইউক্রেনে যুদ্ধ, ফাইল ছবি

এপ্রিলের গোড়ার দিকে লুনিন বলেছিলেন, ক্রেমেনচুক তেল শোধনাগারটি ইউক্রেনের একমাত্র চালু থাকা শোধনাগার। রুশ হামলার শুরু পর থেকে মূলত ইউক্রেনের সব শোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়। মস্কো দাবি করেছে, চলতি মাসে ইউক্রেনের তেল শোধনাগারটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলায় জ্বালানি উৎপাদন ও স্টোরেজ সুবিধা ধ্বংস হয়েছে।

মারিওপোলে ৩ হাজার বেসামরিক নাগরিক আটক: ইউক্রেনের মানবাধিকার প্রধান লিউডমিলা ডেনিসোভা বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকার কারাগারে প্রায় ৩ হাজার নাগরিককে আটক রাখা হয়েছে। তারা সবাই মারিওপলের বাসিন্দা।

মারিওপলে ধ্বংসযজ্ঞ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, কিয়েভ পূর্ব ডোনেস্ক অঞ্চলে স্থাপিত কমপক্ষে দুটি কারাগার সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এর একটি আঞ্চলিক রাজধানী ডোনেস্কে এবং অন্যটি ওলেনিভকায়, যা শহরের কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি উপশহরে অবস্থিত। এসব কারাগারে আটকদের অমানবিক অবস্থায় রাখা হচ্ছে।

তার দাবি, রাশিয়া আটক নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করছে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হুমকি দিচ্ছে। আটকের পর অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

শরণার্থীর সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়াল

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএসএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বযুদ্ধের পর শরণার্থী সংকটে ইউরোপের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের মধ্যে ৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যে দেখা গেছে, গত বুধবার পর্যন্ত ৬.০৩ মিলিয়ন বা ৬০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছে।