যুদ্ধ সমাপ্তির ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী দিলো ন্যাটো
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির ভবিষ্যৎবাণী দিয়েছেন ন্যাটো মহামসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে বিরোধ সম্ভবত একটি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করবে বা মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার চাপ কমাবে। আরটি নিউজ।
ন্যাটো মহামসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ
স্টলটেনবার্গ স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো ইউক্রেনকে সম্ভাব্য শক্তিশালী অবস্থানে রাখা এবং একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ইউরোপীয় জাতি হিসেবে থাকতে সাহায্য করা। মস্কোর সাথে আলোচনার আগে কিয়েভের অবস্থানকে শক্তিশালী করার সর্বোত্তম উপায় হলো 'দৃঢ় সামরিক সমর্থন, অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা'।
তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কবে আলোচনা হতে পারে তা তিনি বলতে রাজি হননি। তার বক্তব্য, আত্মসমর্পণ করলে সর্বদা শান্তি পাওয়া যায়। কিন্তু ইউক্রেন তার স্বাধীনতার জন্য, অস্তিত্বের অধিকারের জন্য রাশিয়ার ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার না করে একটি গণতান্ত্রিক জাতি হওয়ার অধিকারের জন্য লড়াই করছে। ইউক্রেনীয়রা এই মূল্যবোধের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাদের আত্মদান যুদ্ধকে কতদূর নিয়ে যাবে তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
সামরিক জোটের প্রধানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তা ইউক্রেনে সংঘাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে এবং প্রাণহানি বাড়াচ্ছে কি না? তিনি জবাব দেন, আমরা তাদের সাহায্য করি কারণ তারা এটি চাইছে। ইতিহাসে আমরা দেখেছি, যে কোনো দেশ স্বাধীনতার জন্য মহান ত্যাগ স্বীকার করতে ইচ্ছুক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা সত্ত্বেও ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে কোনো যুদ্ধ নেই।
বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, মস্কো বারবার কিয়েভকে বিদেশি অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। তাদের যুক্তি বিষয়টি যুদ্ধকে কেবল দীর্ঘায়িত করবে এবং রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়াবে। গত এপ্রিলে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেনের সংঘাতকে মস্কোর বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদলের মধ্যে কয়েক দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মার্চের শেষের দিকে ইস্তাম্বুলে সর্বশেষ শান্তি বৈঠকের পর আর কোনো পক্ষ মিলিত হয়নি। মস্কো প্রাথমিকভাবে আলোচনার ফলাফল নিয়ে আশাবাদী ছিল। কিন্তু পরে কিয়েভকে পিছিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে। রাশিয়া জানায়, ইউক্রেনীয় আলোচকদের ওপর তাদের আস্থা নেই।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.