লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চীনের ভারী অস্ত্র সমাবেশ
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লাদাখে চীন-ভারত সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কাছে ভারী অস্ত্র সমাবেশ ও অবকাঠামো জোরদার করেছে বেইজিং। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু এ কথা জানিয়েছে।
লাদাখ সীমান্তে কয়েক বছর ধরে চীন-ভারত উত্তেজনা চলছে
বিগত দুই বছরে এলএসির ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করেছে চীন। সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত বিমান ক্ষেত্রগুলোর রানওয়ে আগের তুলনায় কয়েকগুন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানে জঙ্গীবিমান রাখার সুবিধার্থে বেশ কিছু সংহত ব্লাস্ট পেন নির্মাণ করা হয়েছে।
চীনের সশস্ত্র বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এলএসির কাছাকাছি এলাকায় দূর পাল্লার কামান ও রকেট সিস্টেম মোতায়েন করেছে। টেনে নেওয়া হাওয়িটজার কামানের পরিবর্তে স্থানীয় ইউনিটগুলোকে ট্রাক-মাউন্টেড হাওয়িটজার দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইউনিটগুলোকে পিএইচএল-থ্রি এমএলআরএস দেওয়া হয়েছে, যা আগের রকেট সিস্টেমগুলোর তুলনায় আরও নিখুঁত লক্ষ্যভেদে সক্ষম।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা সৃষ্টির আগে এলএসির কাছে চীনের ২০ হাজার সৈন্যের আবাসন সুবিধা ছিল। এখন সেটা বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার সৈন্যের আবাসন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এলএসি বরাবর অনেকগুলো মডেল ভিলেজ নির্মাণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এলএসি বরাবর বেশ কয়েকটি ছোট আকারের জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপটিভ সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে চীন। এতে করে শীতকালীন মৌসুমে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রণক্ষেত্রটিতে চীনা সৈন্যদের টিকে থাকার সক্ষমতা অনেকগুন বৃদ্ধি পাবে।
পিএলএ’র জিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের অধীনস্থ চারটি ডিভিশন পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সীমান্ত বরাবর পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করে থাকে। ২০২০ সালে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা শুরুর সময় জিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের চতুর্থ ও ষষ্ঠ ডিভিশনকে এলএসি বরাবর মোতায়েন করা হয়। গত বছর ওই দুটি ডিভিশনকে সরিয়ে একাদশ ও অষ্টম ডিভিশন মোতায়েন করা হয়। এবার আবার চতুর্থ ও ষষ্ঠ ডিভিশনকে আনা হয়েছে। সবকটি ডিভিশনকে কম্বাইন্ড আর্মস ব্রিগেডে উত্তরণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে চীন।
জানা গেছে, চতুর্থ ডিভিশনের আওতাভুক্ত আর্মার্ড রেজিমেন্টের কাছে থাকা প্রথম প্রজন্মের জেডটিজেড-এইটিএইট ট্যাঙ্ক সরিয়ে তাদের তৃতীয় প্রজন্মের জেডটিকিউ-টাইপ ফিফটিন ট্যাংক দেওয়া হয়েছে, যা আগের তুলনায় ওজনে হাল্কা ও বেশি গতিশীল। ষষ্ঠ ডিভিশনের সার্ভিসে থাকা দ্বিতীয় প্রজন্মের টাইপ-নাইনটিসিক্স-এ ট্যাঙ্ক বহাল থাকলেও সেগুলোর ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
একইভাবে, দুটি ডিভিশনের আওতাভুক্ত মেকানাইজড ব্রিগেডের জেডবিএল-জিরোএইট আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) সরিয়ে অত্যাধুনিক জেডটিএল-ইলেভেন এপিসি দেওয়া হয়েছে। সবকটি ডিভিশনকে সিএসকে সিরিজের অ্যাসল্ট ভেহিকল দেওয়া হয়েছে, যা অনেকটা মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত হামভীর মতো।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালের আগস্টে লাদাখের পাঙ্গং সো হ্রদের কাছে দুই দেশের সৈন্যদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও লাইট ট্যাঙ্ক সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এলএসির কাছে অবস্থিত ভারতীয় বিমানঘাঁটি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোও জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে পিএলএ লাদাখের শিগাৎসে ও রুদক এলাকায় দুটি হেলিপোর্ট নির্মাণ করেছে। গারগুনশ, লাসা ও গুয়াংঝৌ এলাকায় চীনের বিমান ঘাঁটিগুলোর রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং ব্লাস্ট পেন নির্মাণ করা হয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুরানো দিনের মিসাইল সরিয়ে এইচকিউ-সেভেন ও এইচকিউ-নাইন মিসাইল মোতায়েন করা হয়েছে। এইচকিউ-নাইন মিসাইলকে রাশিয়ার এস-৩০০ সিস্টেমের সমকক্ষ ভাবা হয়।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.