দুনিয়া বদলে দেয়া মোবাইল ফোন - ১

‘বিশ্বটাকে দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে’ – কোন ইঙ্গিত পেয়ে কাজী নজরুল ইসলাম এই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন কে জানে। তবে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী যে সঠিক ছিলো তার প্রমাণ বর্তমানের মোবাইল ফোনের দুনিয়া। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যে মোবাইল ফোনগুলি এখন পাওয়া যাচ্ছে, তা যেনো আস্ত একটা কম্পিউটার। কিন্তু মোবাইলের আদি ইতিহাস কি এমন ছিলো? কখনোই না। একেবারে সাধারণ মোবাইল ফোন থেকে খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে আজকের এই স্মার্টফোন। পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে একেবারে হাতের মুঠোয়।

চলুন দেখে নেই, ধাপে ধাপে পরিবর্তনে কোন মোবাইল ফোনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলো।

১। ফ্লিপ ফোনঃ মটোরোলা স্টারট্যাক

বিশ্বখ্যাত মোবাইল নির্মাতা কোম্পানী মটোরোলা ১৯৯৬ সালে এই ফোনটি বাজারে নিয়ে আসে। সাথে সাথেই মটোরোলা স্টারট্যাক ‘যুগান্তকারী আবিষ্কার’ হিসেবে বাজার দখল করে নেয়। বিশ্ব প্রথমবারের মতো ভাঁজ করা মোবাইল ফোন দেখে। মটোরোলা স্টারট্যাক পূর্বে আবিষ্কৃত যে কোনো মোবাইলের চেয়ে ছোট ছিলো। ওজন মাত্র ৩.১ আউন্স। সাথে ছিলো ৯৯টি কন্ট্যাক্ট নাম্বার সেভ করা এবং চার ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফের মতো চোখ ধাঁধানো ফিচার।

২। কী-বোর্ড ফোনঃ নোকিয়া ৯০০০

‘নোকিয়া ৯০০০’ মোবাইল ফোনকে স্মার্ট ফোনের পূর্বপুরুষ বলা যেতে পারে। পূর্ণাঙ্গ কী-বোর্ডওয়ালা নজরকাড়া এই মোবাইল ফোনটি ১৯৯৬ সালে বাজারে আনে নোকিয়া। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে পৃথিবীবাসী দেখে অসাধারন ফিচার সমৃদ্ধ এক মোবাইল ফোন। ‘নোকিয়া ৯০০০’-এ ছিলো ওয়েব ব্রাউজিং এবং ই-মেইল করার সুবিধা। সেবারই প্রথম মোবাইল ফোন গ্রাহকরা ‘টি9’ (abc) কী প্যাডের বদলে ‘কোয়েরটি’ কী-বোর্ডের স্বাদ পান।

৩। প্রত্যেকের জন্য ফোনঃ নোকিয়া ৫১১০

১৯৯৮ সালে ‘প্রত্যেকের জন্য একটি মোবাইল’ – এই ধারণা প্রথম নিয়ে আসে মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানি নোকিয়া। সম্ভবত ‘নোকিয়া ৫১১০’-ই প্রথম মোবাইল ফোন, যেটি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বিশ্বের মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছিলো। দামে সস্তা, ব্যবহারে সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য নোকিয়ার এই মডেলটি ‘অক্ষয়’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলো মানুষের মুখে মুখে। তবে ‘নোকিয়া ৫১১০’ কে মনে রাখার উল্লেখযোগ্য আরও একটা কারণ আছে। আন্দাজ করতে পারবেন, কী সেটা? আর কিছু নয়, সাপ খেলা (স্নেক গেম)!

দুনিয়া বদলে দেয়া মোবাইল ফোন - ২

দুনিয়া বদলে দেয়া মোবাইল ফোন - ৩

দুনিয়া বদলে দেয়া মোবাইল ফোন - ৪