সবার জন্য কমন চার্জার চায় ইইউ, আপত্তি অ্যাপলের

সব ধরনের মোবাইল ডিভাইসকে একটি কমন চার্জারের আওতায় আনতে আগামী সেপ্টেম্বরে একটি আইনের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এটি পাস হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে অ্যাপল। কারণ কোম্পানিটি চার্জার হিসেবে লাইটনিং কানেক্টর ব্যবহার করে, যেখানে বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চার্জারে ব্যবহার করা হয় ইউবিসি-সি। রয়টার্স।

সাধারণ অ্যান্ড্রয়েডের চার্জার

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশন আগামী সেপ্টেম্বরে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ চার্জার সেট করার জন্য আইন পেশ করবে।

ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ইউরোপে বিক্রিত ৫০ শতাংশ ফোন মাইক্রো-ইউএসবি, ২৯ শতাংশ ইউএসবি-সি এবং এবং ২১ শতাংশ ফোনের লাইটনিং কানেক্টর বা চার্জার ছিল। ২০১৮ সালের মোবাইল ও অন্যান্য ইলেকট্রিক ডিভাইস বিক্রির ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। বর্তমানে ইউএসবি-সি কানেক্টরের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অ্যাপলের কানেক্টর

কমিশনের এ আইনের পেছনে যে ধারণাটি কাজ করছে তা হলো, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যে ব্র্যান্ডেরই ফোন ব্যবহার করুক না কেন, তারা যেন একটি চার্জার দিয়েই তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারে। এর পেছনে বড় ধরনের পরিবেশগত সুবিধাও রয়েছে।

অন্যদিকে অ্যাপল বলছে, কেবল এক ধরনের চার্জার ব্যবহারের বিষয়টি উদ্ভাবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং এর ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্যের পাহাড় তৈরি হবে। কারণ, ভোক্তাদের যে ক্যাবলটি বেছে নেয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে, সেটি তারা ভবিষ্যতে অন্য ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবে না।

গত বছরের জানুয়ারিতেও এ ধরনের প্রস্তাব উঠলে তখন অ্যাপল জানিয়েছিল, এর ফলে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হবে। পরিবেশের ক্ষতি হবে এবং গ্রাহক অযথা বিপত্তির মধ্যে পড়বে।

যেহেতু উভয় পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে, তাই শেষ পর্যন্ত চার্জারগুলোকে একীভূত করা হবে নাকি স্বাধীন রাখা হবে, সে বিষয়ে জানতে আরো মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে।