প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বছর পর পৃথিবীর কাছে নিয়োওয়াইজ (সি/২০২০-এফ৩) নামে একটি ধূমকেতু এসেছে। আজ মঙ্গলবার সূর্যাস্তের পর উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের কাছে কিছুক্ষণ এই ধূমকেতুকে উজ্জ্বল অবস্থায় বাংলাদেশসহ আশপাশের সব জায়গা থেকে দেখা যাবে।

neowise comet

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, জুলাইয়ের মধ্যভাগ থেকে শেষ পর্যন্ত ধূমকেতুটিকে ওই সময়ে উজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যাবে। অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা থেকে খালি চোখে দেখা যাবে। তবে শহরাঞ্চলে দূরবীনের সাহায্যে দেখা যেতে পারে। আগস্টের মধ্যভাগ পর্যন্তও দূরবীনের সাহায্যে দেখা যেতে পারে।

ধূমকেতুটি সূর্যকে অতিমাত্রায় উপবৃত্তাকার পথে পরিক্রমণ করে থাকে। একবার পরিক্রমণ করতে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বছর সময় লাগে। সে হিসেবে আবার ৬ হাজার ৮০০ বছর পর নিয়োওয়াইজ পৃথিবীর কাছাকাছি দেখা যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুই ধরনের ধূমকেতু রয়েছে। একটি হচ্ছে- শর্ট পিরিয়ড কমেট বা যেসব ধূমকেতুর পরিক্রমণকাল ২০০ বছরের কম। আরেকটি হচ্ছে- লং পিরিয়ড কমেট বা যেসব ধূমকেতুর পরিক্রমণকাল ২০০ বছরের বেশি। এক্ষেত্রে নিয়োওয়াইজের উৎপত্তি ধরা হয় প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরে থাকা উর্ট ক্লাউড অঞ্চলে।

নিয়োওয়াইজের কেন্দ্রে থাকে বরফ ও ধুলো। সূর্যের কাছাকাছি এলে বরফ বাষ্পীভূত হয়ে গ্যাস তৈরি করে। তখন গ্যাসীয় কণাগুলি তড়িদাহত হয়। আর ধুলো ধূমকেতুর কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সূর্য যেদিকে রয়েছে তার বিপরীতে ছোটে। এটাকে ধূমকেতুর লেজ বলে।

গত ৩ জুলাই নিয়োওয়াইজ সূর্যের কাছ দিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এটির দুটি লেজ তৈরি হয়েছে। একটি আয়নিত গ্যাসের কণা। আর অন্যটিতে ধুলোর কণা। ধুলোর ওপরে সূর্যালোক প্রতিফলিত হওয়ার কারণে এটি উজ্জ্বল দেখা গেছে।

বিজ্ঞানীরা জানান, আগামী ২২ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত পৃথিবীর সব থেকে কাছে থাকবে নিয়োওয়াইজ। ওই সময়ে উত্তর-পশ্চিম আকাশে সপ্তর্ষিমণ্ডল নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থান করা এটির দূরত্ব হবে পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ কিলোমিটার। এরপর থেকে এটি দূরে সরে যেতে থাকবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.