আগ্রাসী এক নীতি গ্রহণ করছে ইউটিউব

জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব এক নতুন আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এই নীতিতে আরো বেশি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাবে তারা। কিন্তু সব ভিডিওর নির্মাতাকে আর বিজ্ঞাপনের লভ্যাংশ দেবে না প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইউটিউব ভিডিও নির্মাতাদের সাথে বিজ্ঞাপনের একটি অংশ ভাগ করে নেয় ইউটিউব। তাদের বিজ্ঞাপন পেতে প্রতিটি চ্যানেলকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।

কিন্তু নতুন নীতিতে ইউটিউব এই অংশীদারিত্ব বাইরেও কিছু ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে। তবে তার জন্য তারা বিজ্ঞাপনের লভ্যাংশ ভাগ করবে না।

এর মানে হলো, এই নীতিটি প্রয়োগ করা হলে ইউটিউবের দর্শকরা আরো বেশি সংখ্যক বিজ্ঞাপন দেখতে বাধ্য হবেন।

বর্তমান নীতি অনুসারে একটি চ্যানেলে ইউটিউবের বিজ্ঞাপন পেতে হলে ওই চ্যানেলকে এক বছরের মধ্যে অবশ্যই ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার পেতে হয় এবং ৪,০০০ ঘণ্টার ভিডিও দেখাতে হয়।

ইউটিউব বলছে এই অংশীদারিত্ব উদ্যোগ বা ইউটিউব পার্টনারশিপ গ্রোগ্রামের বাইরে থাকা চ্যানেলগুলোতেও তারা বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে। কিন্তু এ জন্য ওই চ্যানেলের মালিককে কোনো টাকা দেওয়া হবে না। তবে শর্ত মেনে যদি কোনো চ্যানেল বিজ্ঞাপন পাওয়ার উপযুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের বর্তমান নিয়মে তারা লভ্যাংশ পেতে পারেন।

কিন্তু ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করলেই তা পাওয়া যায় না। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে চ্যানেলগুলো ইউটিউবের কর্মীদের দ্বারা যাচাই করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক মাসের বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে।

নতুন নীতিতে একজন নতুন কন্টেন্ট নির্মাতা যদি ভালো কিছু তৈরি করেন, এবং তার কন্টেন্ট বহু মানুষের কাছে যায় বা ভাইরাল হয়ে যায়— এবং ইউটিউব তাতে বিজ্ঞাপন সেটে দেয়, তাহলে বিজ্ঞাপন থেকে নির্মাতার কোনোই লাভ হবে না।

সাংবাদিক ও লেখক ক্রিস স্টোকেল-ওয়াকার ইউটিউবের এমন পদক্ষেপকে অযৌক্তিক ও আগ্রাসী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “ইউটিউব এমনিতেই অযৌক্তিকভাবে বিপুল অর্থ কামাই করছে। এখন তারা আরো অযৌক্তিক নিয়ম নিয়ে আসছে। যা সাধারণ নির্মাতাদের অনাগ্রহী করে তুলবে।”