বার্সেলোনা থেকে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারকে পিএসজিতে ভেড়াতে ক্লাবটিকে খরচ করতে হয়েছে ২২২ মিলিয়ন ইউরো। ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে এতো টাকা দিয়ে ক্লাব বদলের কোনো নজির নেই। প্রশ্ন জাগে, নেইমারকে কিনতে যদি এতো টাকা খরচ করতে হয় তাহলে 'এই গ্রহের শ্রেষ্ঠ' খেলোয়াড় মেসিকে কিনতে কতোটা টাকা লাগবে?
মেসির নতুন চুক্তি অনুযায়ী, আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বাই-আউট ক্লজ হবে ৩০০ মিলিয়ন। এই চুক্তি অনুযায়ী বার্সেলোনার মতামত ছাড়া কেউ যদি মেসিকে দলে ভেড়াতে চায় তাহলে এই বিশাল অঙ্ক খরচ করতে হবে। ফুটবল বোদ্ধারা বলছেন, আকাশচুম্বী এই বাজারও বার্সার জন্য নিরাপদ নয়। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলছেন, 'নেইমারকে ২২২ মিলিয়নে কেনার পর মেসির জন্য ৩০০ মিলিয়ন খুবই সম্ভব একটা ব্যাপার।'
‘বাই-আউট' ক্লজ মূলত খেলোয়াড় ও ক্লাবকে স্বস্তি দেয়। এই নিয়ম অনুযায়ী নিজের অনিচ্ছায় কোনো ক্লাবে যেন খেলোয়াড়কে বাধ্যতামূলক থাকতে না হয় সেই নিশ্চয়তা দেয়া হয়। ক্লাবও নিশ্চিন্ত থাকে তাদের সেরা খেলোয়াড়টিকে কেউ কিনতে চাইলে অন্তত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। তবে এই হিসাবটা মেসি, নেইমার, রোনালদো কিংবা তাদের মতো তারকাদের জন্য অঙ্কটা আকাশেচুম্বি করে রাখে ক্লাব।
লিভারপুল কোচ বলেন, 'পিএসজি নতুন একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মেসিকে নিয়েও নিরাপদ নয় বার্সেলোনা। বার্সেলোন স্রেফ অঙ্কটা বসিয়ে দিয়েছে। হয়তো ভাবছে, ৩০০ মিলিয়ন কে খরচ করবে; কিন্তু নেইমারের দলবদল বলছে, মেসির মতো খেলোয়াড়কে পেতে ৩০০ মিলিয়ন কোন বিষয় নয়।'
ক্লাব এবং ফুটবলারদের অনিশ্চয়তা কাটাতে একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্লপ বলেন, 'বড় ক্লাবগুলোর জন্য একটা বাজারমূল্যের সীমা নির্ধারণ করতে হবে। ১৫০ হোক বা ৫০০ মিলিয়নের বেশি হোক তাদের একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে কেবলমাত্র অনিশ্চয়তার কালো মেঘ কেটে যাবে।'