মিশরের বিদায়, দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়া

প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে সুতোয় ঝুলে গিয়েছিল মিশরের দ্বিতীয় রাউন্ডের স্বপ্নটা। দেশের স্বপ্ন বাঁচাতে দ্বিতীয় মাচে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু ফেরার ম্যাচটায় লিভারপুল ফরওয়ার্ড উপহার পেলেন দুঃস্বপ্ন। তার উপস্থিতিতেই শেষ হয়ে গেলো মিশরের বিশ্বকাপ।

মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে বিধবস্ত হয়ে মাঠ ছাড়ল আফ্রিকান দলটি। পরপর দুই হারে কার্যত শেষ হয়ে গেল সালাহবাহিনীর বিশ্বকাপ যাত্রা। পক্ষান্তরে, রাজসিক দুই জয়ে সবার আগে নক আউট পর্বে উঠে গেলো স্বাগতিক রাশিয়া।

অবশ্য প্রথমার্ধে লড়াইটা ছিল সমানে সমান। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটার প্রথমার্ধ কেটেছে গোলশূন্যভাবে। বিরতি থেকে মাঠে ফিরেই ম্যাচের প্রথম গোলটি পায় রাশিয়া। সেটাও উপহারসূচক আত্মঘাতী গোল। যা এই বিশ্বকাপের পঞ্চম।

৪৭ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন রাশান মিডফিল্ডার রোমান জবনিন। আরেক রাশান ফুটবলারের হালকা ধাক্কায় আহমেদ ফাতিহ পড়ে যাওয়ার সময় তার পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে। হতভম্ব হয়ে মিশর গোলরক্ষক চেয়ে দেখেন কীভাবে বলটা জালে জড়িয়ে যায়। 

১২ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেনিশ চেরিশেভ। মারিও ফার্নান্দেজের সহায়তায় দারুণ এক শটে তিনি জাল কাঁপান মিশরের। ভিয়ারিয়ালের রাশান মিডফিল্ডারের এটা বিশ্বকাপের তৃতীয় গোল। এই গোলেই টুর্নামেন্টের চলমান আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেললেন চেরিশেভ।

চেরিশেভের গোলের উচ্ছ্বাসের রেশটা কাটতে না কাটতেই স্কোর লাইন ৩-০ করেন ফরওয়ার্ড আর্টেম ডিজুবা। ম্যাচের তৃতীয় গোল করে ডিজুবা ভক্তদের অভিবাদনের জবাব দিলেন স্যালুট জানিয়ে। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোলের একটা ঝড় বয়ে যায় মিশরের ওপর দিয়ে।

বিশ্বকাপে ডিজুবার দ্বিতীয় গোলেই দারুণ একটা রেকর্ড হয়ে গেল রাশিয়ার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম দুই ম্যাচে আট গোল হলো তাদের। ১৯৩৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ আট গোলের কীর্তি গড়েছিল স্বাগতিক ইতালি।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে সালাহকে ডি-বক্সে ফেলে দেন রাশান মিডফিল্ডার জোবিন। বিশ্বকাপের প্রথম সফল রিভিউতে পেনাল্টি পায় মিশর। স্পট কিক থেকে মিশরের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বমঞ্চে গোল করেন সালাহ। কিন্তু চলমান টুর্নামেন্টের দশম পেনাল্টি থেকে সালাহ গোল করলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি।

পরপর দুই হারে শেষ হয়ে যায় মিশরের বিশ্বকাপ। ২৫ জুন সৌদি আরবের বিপক্ষের ম্যাচটা সালাহবাহিনীর জন্য হয়ে উঠল শুধুই নিয়মরক্ষার আয়োজন। একই দিনে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে রাশিয়া।