রক্ষণাত্মক ফুটবলের জন্য অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খ্যাতির কমতি নেই। কিন্তু আক্রমণই যে সেরা রক্ষণ এই তত্ত্বটাই মাঝে মাঝে ভুলে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। বেমালুম ছোট্ট সেই ভুলটার মাসুল গুণতে হলো ডিয়েগো সিমনের দলকে। মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ন্যূনতম ব্যবধানে হেরে গেল তারা। স্প্যানিশ জায়ান্টদের হারিয়ে দিল স্বাগতিক ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনে
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনে। ১-০ গোলের এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে থাকল সিটিজেনরা। আগামী ১৩ এপ্রিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেই ম্যাচে হার এড়ানোই যথেষ্ঠ সিটির জন্য। জিতলে তো সোনায় সোহাগা। তবে জয়ের বিকল্প নেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। সেখানেও আছে শর্ত।
ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলের কৌশল থাকল দুই মেরুতে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজায় পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। বিপরীতে বাস পার্কিং ফুটবলের আশ্রয় নেয় সিমনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ফলাফল, এ ধরনের ম্যাচে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ম্যাচের শেষ দিকে অতিথিদের রক্ষণ গুঁড়িয়ে দেয় সিটিজেনরা।
ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনে
৭০ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী গোলটা করেছেন ডি ব্রুইনে। নকআউট পর্বের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের জয়ে অবদান রাখার পুরনো অভ্যাসটা এদিনও কাজে লাগালেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। চ্যাম্পিয়নস লিগে সিটির সবশেষ ১২টি নক আউট পর্বের ম্যাচে ১১টি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকল তার নাম। এ সময়ে ডি ব্রুইনে নিজে করেছেন ছয় গোল; সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো পাঁচটি।
নেপথ্য নায়ক নন, এবার বেলজিয়ান সেনসেশন সরাসরি গোলে রাখলেন অবদান। বেঞ্চ ছেড়ে উঠে এসে সতীর্থের গোলে সহায়তা করলেন ইংলিশ তরুণ তুর্কি ফিল ফোডেন। তার পাস থেকেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ডি ব্রুইনে। এই গোলের ওপর দাঁড়িয়ে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশ জায়ান্টরা। এই জয়ে সেমিফাইনালের যাওয়ার পথে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থাকল সিমনের দল।