ফাইনালের সব উত্তেজনা এবং রোমাঞ্চই ছিল আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং রেঞ্জার্স এফসির মধ্যকার ম্যাচে। ম্যাচজুড়ে হয়েছে দুর্দান্ত লড়াই। নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে মীমাংসা না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে স্কটিশ ক্লাবটিকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে ফ্রাঙ্কফুর্ট।
ফাইনালে রেঞ্জার্সকে হারিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট
এর মাধ্যমে ৪২ বছর পর ইউরোপা লিগের শিরোপাখরা কাটাল ফ্রাঙ্কফুর্ট। এর আগে ১৯৮০ সালে বুরুশিয়া মুনশেনগ্ল্যাডবাখকে হারিয়ে ইউরোপের দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছিল জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী আসরে খেলার সুযোগ পেল ফ্রাঙ্কফুর্ট।
নিরপেক্ষ ভেন্যু সেভিয়ার র্যামন সানচেজ পিজজুয়ানে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট। চাপ ধরে রেখেও প্রথমার্ধে গোল আদায় করতে পারেনি অলিভার গ্লাসনারের দল। বিরতির পরও খেলে দাপুটে ফুটবল। ৫৭ মিনিটে খেই হারায় দলটি। বাঁ পায়ের শটে রেঞ্জার্সকে এগিয়ে নেন জো আরিবো।
ফ্রাঙ্কফুর্ট খেলোয়াড়দের বাঁধভাঙা উল্লাস
ম্যাচে ফিরতেও বেশি সময় নেয়নি ফ্রাঙ্কফুর্ট। ১২ মিনিট পর ফিলিপ কোস্তিচের পাস থেকে সমতা টানেন রাফায়েল সান্তোস মাউরি। নির্ধারিত সময়ের বাকি সময় কোনো দল আর কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেনি। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ জিততে পারতো রেঞ্জার্স। দারুণ এক সেভ দিয়ে ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে নেন ফ্রাঙ্কফুর্টের গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়াতেও জার্মানির দলটির নায়ক ট্রাপ।
টাইব্রেকারে নিজেদের করা প্রথম চার শটেই ঠিকানা খুঁজে নেয় ফ্রাঙ্কফুর্ট। রেঞ্জার্সের হয়ে অ্যারন রামজির করা চতুর্থ শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ট্রাপ। ফ্রাঙ্কফুর্টের মাউরির পঞ্চম শট জালে জড়ালে জয় নিশ্চিত হয় দলটির।