আপনি পড়ছেন

তুরস্কবিরোধী বক্তব্য, বিবৃতি ও নানা কার্যক্রমে পুরো বছর পার করে গ্রিস। অন্তত ২০০ বছরের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস এবং গভীর শিকড়যুক্ত হেলেনিক সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও গ্রিক প্রশাসন এখনও তুর্কিবিরোধী কার্যক্রম থেকে মনোযোগ সরায়নি। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

greek state built on anti turkiye rhetoric with sense of entitlementতুর্কিবিরোধী কার্যক্রমে বছর পার করে গ্রিস!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পশ্চিমা সভ্যতায় ভাষা, প্রযুক্তি, ওষুধ, থিয়েটার এবং অলিম্পিকে গ্রিসের অবদান অনস্বীকার্য। এই ধরনের অবদান গ্রিসকে ইউরোপে ভিন্ন পরিচিতি দিয়েছে। এরপরও দেশটি তুরস্কের বিরুদ্ধে লেগেই আছে। তারা নিজেদের মর্যাদা ভুলে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে নানা অন্যায় কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে।

খবরে বলা হচ্ছে, আঙ্কারা ও এথেন্সের মধ্যে বিবাদের আরেকটি কারণ হলো ফেতুল্লা সন্ত্রাসী সংগঠনের (এফইটিও) সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গ্রিস ফেটো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। তখন থেকেই গ্রিস ফেটো সন্ত্রাসীদের একটি শীর্ষ গন্তব্য হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, ডিএইচকেপি-সি এবং পিকেকে সন্ত্রাসীদেরও নিরাপদ আশ্রয়স্থল এখন গ্রিস। তারা ল্যাভরিয়নের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় পেয়েছে। এই ক্যাম্পটি গ্রিক রাজধানী এথেন্সের কাছাকাছি অবস্থিত।

বিবৃতিতে তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেন, গ্রিস ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি দেশ। দেশটি তুরস্কের যেসব সন্ত্রাসীকে লালন-পালন করছে, তুর্কি স্বাধীনতার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, অবদানও নেই। এমনকি পিকেকে শুধু ইইউ নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায়ও তাদের নাম আছে।

গ্রিসে ফেটো সদস্যদের আশ্রয়

এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, গ্রিস ফেটো সন্ত্রাসীদের কেন আশ্রয় দিয়েছে এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা মনে করে, গ্রিস হয়তো একদিন তুরস্কের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তাদের এই ধারণা একটি নিছক কল্পনা হয়েই থাকবে। কখনও বাস্তবে রূপ পাবে না।

গ্রিক প্রেসের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার তুর্কি নাগরিক গ্রিসে প্রবেশ করেছে। এদের বেশিরভাগই ফেটো সদস্য। তারা গ্রিসে প্রবেশ করতে এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ বা মেরিক (ইভ্রোস) নদী ব্যবহার করে থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে গেলেও প্রায় ৯ হাজার ব্যক্তি গ্রিসেই রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.