বিশ্বের সবচাইতে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম আমেরিকা। মার্কিনীদের তুলনায় সবক্ষেত্রে যোজন যোজন দূরত্ব পিছিয়ে রয়েছে অনুন্নত জিম্বাবুয়ে। সেই জিম্বাবুয়েই কিনা আমেরিকাকে কলা গাছে দড়ি দিয়ে মরতে বললো! শুনতে অবাক হলেও যুক্তরাষ্ট্রের এমনই কড়া সমালোচনা করেছেন জিম্বাবুয়ের এক দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা।
জিম্বাবুয়ের ওই কর্মকর্তা হলেন দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জর্জ চারাম্বা। তিনি জিম্বাবুয়েতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সমালোচনায় এমন কঠোর ও অস্বাভাবিক ভাষা ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে জিম্বাবুয়ের সমালোচনা করে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পাল্টা জবাবে চারাম্বা বলেন, 'মার্কিনীরা নিজেদের দিকে খেয়াল রাখুক। পারলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা কলা গাছে দড়ি টানিয়ে ফাঁস দিতে পারেন।'
জিম্বাবুয়ের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জর্জ চারাম্বা এসব কথা বলেন। পরে বুধবার জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দৈনিক হেরাল্ড এই খবর প্রচার করে। জিম্বাবুয়েতে অবস্থানরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে থমাস জুনিয়রকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, 'যদি তারা মনে করে তারা আমাদের বস তাহলে তারা কলা গাছে গলায় দড়ি দিতে পারে।'
ওই রাষ্ট্রদূতের চরম সমালোচনা করে চারাম্বা বলেন, 'তিনি তো ভয়াবহ দিনের উচ্ছ্বিষ্ট খাবার!', এই বক্তব্যের মাধ্যমে চারাম্বা মূলত থমাসকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা আমলের রাষ্ট্রদূত বলে চিহ্নিত করেছেন। ওবামার আমলে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কটা মোটেও সুখকর ছিল না। থমাস দায়িত্বে আসার পর থেকেই তিনি জিম্বাবুয়ের জনপ্রিয় নেতা রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
এই ঘটনার পরপরই আবারো এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, 'জিম্বাবুয়ে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এই বিষয়ে মার্কিন সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।'