ন্যাটো মহাসচিব: রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ভুল করেছিলাম

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলাম। এ ভুল আমরা দ্বিতীয়বার করতে চাই না। সম্প্রতি বার্লিন সফরের সময় পশ্চিমা সামরিক জোটের প্রধান এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স।

ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ

স্টলটেনবার্গ তার বক্তৃতায় চীনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক উপভোগ করতে চাইলে চীনকে অবশ্যই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে। রাশিয়াকে সাহায্য করে পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, রাশিয়া এ যুদ্ধে প্রযুক্তিরও সহায়তা নিচ্ছে। আর এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করছে চীন। চীনের সেমিকন্ডাক্টরের মতো উচ্চ-প্রান্তের প্রযুক্তি ভাগ করে রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গত বছর এক চীন থেকে রাশিয়া তার মাইক্রোইলেকট্রনিক্সের ৯০ শতাংশ আমদানি করেছে। এটি ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক ও বিমান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। রাশিয়াকে উন্নত স্যাটেলাইট সক্ষমতা দেওয়ার জন্যও কাজ করছে চীন।

চীন-রাশিয়া সম্পর্ক

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, চীন দাবি করে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। কিন্তু তারাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে সবচেয়ে বড় সশস্ত্র সংঘাতের ইন্ধন দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। তারা উভয়টি একসঙ্গে পেতে পারে না।

এ সময় তিনি পশ্চিমা মিত্রদের চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, অতীতে আমরা রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ভুল করেছি। এখন আবার চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে সে ভুলের পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।

স্টলটেনবার্গ এ সময় উল্লেখ করেন, চীন-রাশিয়া ২০২৩ সালে ২৪০.১ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড বাণিজ্য করেছে। এক বছর আগের তুলনায় যা ২৬ দশমিক তিন শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে রাশিয়ায় চীনা পণ্যের চালান বেড়েছে ৪৬ দশমিক নয় শতাংশ। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে চীনের আমদানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।