উত্তর কোরিয়ায় সরকার পতন চায় না যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া সরকারের পতন চায় না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না। বরং তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। তবে তারা (উত্তর কোরিয়া) ক্রমাগত পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যে হুমকি তৈরি করছে তা 'অগ্রহণযোগ্য'।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন যখন উ. কোরিয়া তাদের সবশেষ আন্ত:মহাদেশী ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে। সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর পিয়ংইয়ং দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ভূখণ্ডই তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে তাদের সুর কিছুটা নমনীয় করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও যুদ্ধনীতি থেকে অনেকটা সরে এসেছেন। সম্প্রতি একজন সিনিয়র রিপাবলিকান সিনেটর ও ট্রাম্প একমত হয়েছেন যে, ‘প্রয়োজন হলে বিকল্প হিসেবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কথা ভাবা হবে’। পূর্বে যেভাবে সরাসরি উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দেয়া হতো তা থেকে সরে এসে এখন অনেকটা কৌশল অবলম্বন করছে মার্কিন প্রশাসন।

উত্তর কোরিয়ার প্রতি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়া সরকারের পতন চাইছি না, কোরীয় উপদ্বীপের পুন:একত্রীকরণের বিষয়েও কিছু বলছি না। তাদের শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনার চিন্তাও আমাদের নেই। আমরা প্রিয়ংইয়ংয়ের শত্রু নই। আমরা তাদের জন্য কোন হুমকিও নই।’

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে মহড়া চালিয়েছে। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করছেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্র উ.কোরিয়ায় সরকার পরিবর্তন চায় না, তাদের লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে আলোচনা।’