রহস্যজনক সেই ভাইরাস এবার যুক্তরাষ্ট্রে

চীনে ছড়িয়ে পড়া রহস্যজনক ‘করোনা ভাইরাস’ এবার সুদূর যুক্তরাষ্ট্রেও শনাক্ত করা হয়েছে। দেশ থেকে মহাদেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত একজন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটি। গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, চীন থেকে সিয়াটলে আসা একজন মার্কিনি করোনা ভাইরাস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্ত হওয়া ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ১৫ জানুয়ারি চীনের উহান থেকে সিয়াটলে ফেরেন। তাকে ওয়াশিংটনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

দেশটির গণমাধ্যম জানায়, নতুন এ ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসার পর গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। শিকাগো ও আটলান্টা বিমানবন্দরেও এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বরে আবির্ভাব ঘটা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের প্রায় সবাই নিউমোনিয়া ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় চীনা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রহস্যজনক এ ভাইরাস নিয়ে কেবল চীনেই নয়, গোটা বিশ্বে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশ এরইমধ্যে নানা ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। উহান থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, তাইওয়ান ও জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও জাপানে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

চীনা বিশেষজ্ঞনা জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়। নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বলা হচ্ছে, নতুন এ ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে, যা অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। ২০০২ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে ৭০০ জন মানুষের মৃতু হয়।