চীনকে মোকাবেলায় ‘স্টিলথ ফাইটার’ বানাবে জাপান

আকাশপথে নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে জাপান। সে জন্য দেশটির ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রতিরক্ষা বাজেটে ২৬ দশমিক ১ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিমান ‘স্টিলথ ফাইটার’

'এফ-এক্স' নামক এই প্রকল্পের আওতায় স্টিলথ জেটের সমন্বয়ে কাজ করতে পারবে এমন ড্রোন বানানোরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত একুইজিশন, লজিস্টিকস এন্ড টেকনোলজি এজেন্সির (এএলটিএ) বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যম এনএইচকের খবরে বলা হয়, দুই ইঞ্জিনসম্পন্ন এ যুদ্ধবিমান হবে 'নেটওয়ার্ক শুটিং' ক্ষমতাসম্পন্ন, অভ্যন্তরীণ অস্ত্রাগার ও টিভিসি (থ্রাস্ট ভেক্টরিং কন্ট্রোল) সম্পন্ন।

এ বিষয়ে দেশটির আইনসভা ডায়েটে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টারো কোনো বলেন, আগামী ২০৩১ সালে ষষ্ঠ প্রজন্মের এই নতুন যুদ্ধবিমানের উৎপাদন শুরু হবে। তাছাড়া জাপানের সীমান্তে চীনের সামরিক বাহিনীর টহলের কারণে প্রতিদিন জরুরি ভিত্তিতে জেট উড্ডয়ন করতে হয়।

এদিকে জাপানের এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জাপানের কাছে ১০০টির বেশি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬৩টি এফ-৩৫এ ও ৪২টি এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বিক্রয় কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্যমাত্রা এবং জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যকে সাহায্য করবে। পাশাপাশি বন্ধুরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় থাকবে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে জাপানকে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা জরুরি বলেও সেখান থেকে বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যকার এ চুক্তির আনুমানিক মূল্য ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে জাপান মোট ১৪৭টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে গত বছর ১৩টি বিমানসহ এই পরিকল্পনার প্রথম স্কোয়াড্রন উড্ডয়ন করে দেশটির সামরিক বাহিনী।