স্বাধীনতার পর থেকে পরস্পরের শত্রু ভারত ও পাকিস্তান। ৭৪ বছরের মধ্যে দেশ দুটির মৈত্রী দেখা যায়নি। রাজনীতি, বাণিজ্য, খেলা- সব জায়গায় এ শত্রুতা দৃশ্যমান। এমন দুটি দেশকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চান মালালা ইউসুফজাই।
ভারত-পাকিস্তানকে বন্ধু দেখতে চান মালালা
দুই দেশের সীমান্তে গোলাবর্ষণ যখন প্রায় রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সেই সময়ে দুই প্রতিবেশী দেশের উদ্দেশে শান্তির বার্তা দিলেন তিনি।
রোববার ভারতের জয়পুর সাহিত্য উৎসবে ভারচুয়ালি যোগ দেন নোবেলজয়ী মালালা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভারতীয়, আমি পাকিস্তানি। আমরা আমাদের মতো ভালো আছি। তাহলে এত বিদ্বেষ কেন? সীমান্ত, বিভাজন ও বিভাজনের মাধ্যমে আলাদা করে জয় করা- এসব পুরনো দর্শন এখন আর কাজ করে না। মানুষ হিসেবে আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে চাই।’
মালালা বলেন, আমরা একটা ভ্রমের মধ্যে আছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তানের আসল শত্রু হলো- দারিদ্র্য, বৈষম্য ও অসাম্য। নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে দুই দেশের উচিত এ শত্রুগুলির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া। আমি ভারত ও পাকিস্তানকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই।’
মালালা ইউসুফজাই
সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়েও কথা বলেন মালালা। ইসলামাবাদকে অস্বস্তিতে ফেলে তার বক্তব্য, ‘পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। একইভাবে ভারতে মুসলিম ও দলিতরা ভারতে সুরক্ষিত নন।’
২০১২ সালে মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করেছিল সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। মালালা তখন স্কুলছাত্রী। তারপর থেকে ঘটনা অনেক দূর গড়িয়েছে। নারী শিক্ষার অধিকার থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এর ফলে এখনও তিনি সন্ত্রাসীদের টার্গেটে। কয়েকদিন আগেই মালালাকে খুন করার হুমকি দিয়েছে ‘তহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’-এর প্রাক্তন মুখপাত্র এহসান। আবারও মালালাকে গুলি করার সুযোগ পেলে সে লক্ষ্যভেদ করবে বলে হুমকি দেয়। এ হুমকির পর ওই জঙ্গির অ্যাকাউন্ট চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার।