তুরস্কের একটি আদালত বুধবার (৭ এপ্রিল) দেশটিতে ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার দায়ে ২২ সাবেক সেনাসদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সরানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে খবর দিয়েছে আলজাজিরা।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে তুরস্কের আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার
অভ্যুত্থানচেষ্টায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গণবিচারের অংশ হিসেবে আঙ্কারার একটি আদালত ৪৯৭ জন সেনাসদস্যের ভূমিকা তদন্ত করেন। এর মধ্যে প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের বেশ কিছু সদস্যও ছিলেন। আঙ্কারা প্রদেশের সিনকন কারাগার ভবনে স্থাপন করা আদালতে ওই গণবিচারের রায় ঘোষণা করা হয়।
গণবিচারের একটি নথি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একজন আইনজীবী বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়, পদস্থ ২২ সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল উমিত গানসার রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটিতে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠে বাধ্য করে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
অভ্যুত্থানের রাতে সামরিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার রেজিমেন্টের একটি সেনাদলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়ে সাবেক মেজর ফেদাকার আকসাকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। টিআরটি ভবন দখলের নির্দেশ দেওয়ার জন্য সাবেক কর্নেল মুহামেত তানজু পশরকেও একই সাজা দেওয়া হয়।
আদালতে ঢোকার আগে সংশ্লিষ্টদের পরিচয়পত্র চেক করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা
আরেক সাবেক মেজর ওসমান কোলতারলাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বিচারক। অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় তিনি প্রেসিডেন্ট ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তুরস্কে বর্তমানে যাবজ্জীবন সর্বোচ্চ সাজা। ২০০৪ সালে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করা হয়।
২০১৬ সালের অভ্যুত্থানটি এরদোয়ানের সমর্থক ও সেনাবাহিনীর অপর অংশ রুখে দেয়। এতে ২৪৮ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ২৪ অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীও ছিলেন। পরে দেশটির বেশ কয়েক হাজার সেনাসদস্য ও বেসামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।