গাজায় প্রতিষ্ঠিত ‘টার্কিশ-প্যালেস্টিনিয়ান ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল’ ফিলিস্তিনি উপত্যকাটিতে কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। গত বছর থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর প্রধান চিকিৎসক মারওয়ান আল-হামস জানালেন, জনগণের আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে এ হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ফিলিস্তিনে আশা যুগিয়েছে তুরস্কের হাসপাতাল
২০০৬ সাল থেকে স্থল, জল, আকাশ- তিন দিক থেকেই এ উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। টার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি সংক্ষেপে ‘টিকা’ ২০১৭ সালে গাজায় হাসপাতালটি চালু করে। হাসপাতালটি আক্ষরিক অর্থেই তাদের জন্য ছিল বিশাল এক উপহার।
গাজা উপত্যকায় রয়েছে ২১ লাখ মানুষের বসবাস। কোভিড মহামারির মধ্যে বিশে^র অন্য দশটা জায়গার মতো এখানকার মানুষও বিপর্যস্ত। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৪ হাজার ৯৮২টি পরীক্ষার পর ১ হাজার ৯১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে সেখানে মারা গেছেন ৬৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
‘অস্থায়ী কোয়ারেন্টিন হসপিটাল’ হিসেবে ব্যবহারের জন্য হাসপাতালটি ২০২০ সালের মার্চে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ৯ জনসহ প্রায় শতাধিক রোগীকে আধুনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বছর গাজা উপত্যকায় বিপুল চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছিল তুরস্ক।
ফিলিস্তিনে আশা যুগিয়েছে তুরস্কের হাসপাতাল
আল-হামস বৃহস্পতিবার আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, তারা গত বছর থেকে এ হাসপাতালে করোনা-আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি গাজা উপত্যকায় এ-রকম ‘সম্পূর্ণ সজ্জিত হাসপাতাল’ দেওয়ার জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে উপত্যকার পরিস্থিতি সংকটজনক।
গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রা বলেন, মহামারি তাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এর প্রকোপ আরও ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে রোগীদের বিছানা পেতে সমস্যা হতে পারে। সেখানে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে বলেও জানান তিনি।