আজাদ কাশ্মিরে পিটিআইয়ের জয়জয়কার

পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ-কাশ্মিরে (এজেকে) সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। রোববার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যে পাঁচটি আসনের বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে, তার চারটিতেই জয় পেয়েছে পিটিআই। এছাড়া আরো ২০টি আসনে তারা পরিষ্কার এগিয়ে আছে।

নির্বাচনে ৩২ লাখ ভোটারের অর্ধেকের বেশি তাদের ভোট প্রয়োগ করেন

রোববার আজাদ কাশ্মিরের ৩২ লাখ ভোটারের অর্ধেকের বেশি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৫ বছর মেয়াদী ৫৩ আসনের পার্লামেন্টের সদস্যদের নির্বাচনে তারা এ ভোট দেয়।

এজেকে পার্লামেন্টে সরকার গঠন করতে ২৭টি আসনে জয়লাভ করতে হয়। বর্তমান ফলের ধারা অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, ইমরান খানের দল ৩০টির অধিক আসনে জয়ী হবে। অন্যদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি দ্বিতীয় স্থানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জরিপ অনুযায়ী পাকিস্তান পিপলস পার্টি পাঁচটি এবং মুসলিম লীগ-নওয়াজ চারটি আসন পাবে।

একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরের দৃশ্য

অবশ্য দীর্ঘ দিন ধরে আজাদ কাশ্মিরে এ ধারাই চলে আসছে। অর্থাৎ ১৯৭৫ সাল থেকে এ নির্বাচনে দেশ পরিচালনাকারী দলই জয়ী হয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারও ব্যতিক্রম কিছু হবে না।

এর আগে নির্বাচনে বেশ কিছু স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর এ সংঘর্ষে কোথাও কোথাও পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাসদস্যদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। কোনো কোনো পুলিং স্টেশন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। কোটলি জেলায় পিটিআই ও পিপিপি দলের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি অভিযোগ করে, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ইমরান খানের দলের পক্ষে কাজ করছে। তারা অন্যদের অভিযোগের ব্যাপারে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না। পিটিআই অবশ্য এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলে দল দুটিকে সংঘাতের জন্য অভিযুক্ত করে।

রোববারের এ নির্বাচনে ২৩টি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের ৭০০ প্রার্থী ৪৫টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। বাকি আটটির পাঁচটি নারীদের এবং ধর্মীয় পণ্ডিত, টেকনোক্র্যাট ও প্রবাসী কাশ্মিরিদের জন্য একটি করে তিনটি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এ আট আসন অন্যান্য আসনে জয়ীদের অনুপাত অনুযায়ী বন্টিত হয়।

আবার ৪৫টি আসনের মধ্যেও ১২টি সংরক্ষিত আছে ১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালে ভারত অধিকৃত কাশ্মির থেকে অভিবাসী হিসেবে পাকিস্তান চলে এসেছিল তাদের জন্য। ফলে আজাদ কাশ্মিরের ১০টি জেলায় মাত্র ৩৩টি আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।