ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, মরক্কো এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে, তা আরব বিশ্বের জন্য নতুন আরেকটি পরাজয়ের সমান। ইসরায়েলের সাথে মরক্কোর নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও সামরিক সহযোগিতা চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস এ মন্তব্য করেছে।
তেলআবিব-রাবাত চুক্তি সই
গত শনিবার দেয়া এক বিবৃতিতে হামাস আরো জানিয়েছে, ইসরায়েলি শাসনের সাথে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মরক্কো সরকারের পদক্ষেপটি ইসলামি ও আরব নীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে পিছিয়ে পড়ার সমতুল্য। এসব চুক্তির মধ্য দিয়ে তেলআবিব ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে নিজেদের নীতি আরো কঠিনভাবে বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি ইসরায়েলের সন্ত্রাসী সেনারা নিরপরাধ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হত্যা ও নিপীড়ন বাড়িয়ে দেবে।
হামাসের মতো ফিলিস্তিনের অন্য সংগঠনও মরক্কো ও ইসরায়েলের মধ্যকার নিরাপত্তা এবং সামরিক চুক্তির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে। তারা বিষয়টিকে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির পেছনে ছুরিকাঘাত বলে অভিহিত করেছে।
হামাসের বিক্ষোভ, ফাইল ছবি
গত মঙ্গলবার গ্যান্টজ দুই দিনের সফরে রাবাত যান। বুধবার রাবাতে ইসরায়েলের সামরিক বিষয়ক মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ এবং মরক্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আবদুল লতিফ লাউদিয়ের উপস্থিতিতে রাবাত এবং তেল আবিব বেশ কিছু চুক্তি-সমঝোতায় সই করে। সেখানে মরক্কোর কাছে ইসরায়েলি ড্রোন বিক্রয় বিষয়ক একটি চুক্তিও হয়। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক আরো কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়।
গ্যান্টজের এ সফর নিয়ে সমালোচনা করে হামাস জানায়, সে একজন যুদ্ধাপরাধী। আরব ও ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে সে সব সময় গর্ব অনুভব করে থাকে।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদানের পথ অনুসরণ করে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ চুক্তির অধীনে মরক্কো ইসরায়েলি সরকারের সাথে নিজের সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।