আফগানিস্তানের শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করছে তালেবান। তবে ছয় মাসে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। অশান্তি, ভয় আর নানা অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে সাধারণ আফগানদের। দেশজুড়ে বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উৎপাতে ঘুম নেই মানুষের। খবর এএফপি।
আফগানিস্তানে আইএস উৎপাত, অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন
জালালাবাদ, নানগারহার ও সার-ই-পুলের মতো প্রদেশগুলোতে আস্তানা গেড়েছে এই বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে এক ভয়ের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। আইএসের এই অপতৎপরতা দমনে নিরাপত্তা জোরদার করছে তালেবানও।
গত বছরের আগস্টে পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সেনাবাহিনীকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। কিন্তু তাদের ক্ষমতার প্রতি অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।
আফগানিস্তানে আইএস উৎপাত, অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন
তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বেশ কিছু হামলার মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের জানান দেয় আইএস-কে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তির পরই সক্রিয় হয়ে উঠে আইএস। আফগানিস্তানে গোষ্ঠীটির ২ হাজার থেকে ৪ হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সুবিধার্থে রাজধানী কাবুলে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইইউর পক্ষ থেকে এ বিষয়ক এক ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এটাকে কোনোভাবেই তালেবানের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা ঠিক হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেন, ‘কাবুলে আমাদের ন্যূনতম উপস্থিতিকে কোনোভাবেই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি হিসেবে দেখা উচিত নয়।’ পিটার আরও বলেন, বিষয়টি দেশটির কার্যত কর্তৃপক্ষকেও (তালেবান) স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি রেল সংযোগ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে তালেবান। চলতি সপ্তাহে কাবুলে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে রেললাইন নির্মাণ বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। পেশোয়ার-কাবুল এবং পেশোয়ার-জালালাবাদের মধ্যে এই রেললাইন প্রতিষ্ঠা করা হবে। লাইনটির সঙ্গে যুক্ত হবে আরেক প্রতিবেশী উজবেকিস্তানও।