মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এফ-৩৫ বিমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফাইটার জেট। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষ চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভাণ্ডারে থাকা অন্যতম সেরা এই যুদ্ধবিমানের সব প্রযুক্তি হাতে পেতে চায়। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে রুটিন মহড়ার সময় এই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন।
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান
তাদের আশঙ্কা, বিধ্বস্ত বিমানটি চীন-রাশিয়ার হাতে পড়লে তারা এর অত্যাধুনিক গোপন প্রযুক্তি হাতিয়ে নিতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হবে। ফলে ভেঙে পড়া বিমানটির খোঁজে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে দক্ষিণ চীন সাগরে রুটিন মহড়ার সময় ভেঙে পড়ে আমেরিকার একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনের ডেকে নামার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমানটি। ওই ঘটনায় আহত হন সাত সেনা। বিমানের পাইলটকে সেনা হেলিকপ্টার উদ্ধার করে। আহতদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটলো, তা এখনো জানা যায়নি।
মার্কিন রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন
এদিকে, সমুদ্রে ভেঙে পড়ার পর এখনও বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে পারেনি মার্কিন নৌসেনা। অথচ বিমানটির রাডার থেকে শুরু করে ‘ওয়েপনস কন্ট্রোল সিস্টেম’ প্রযুক্তি অত্যন্ত গোপনীয়। সেসব তথ্য পেতে অনেক ব্যয় করতে রাজি চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো। তাই স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ চীন সাগরে ভেঙে পড়া মার্কিন বিমানটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে বেইজিং। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চেষ্টায় সফল হলে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর মাধ্যমে খুব সহজে একই ধরনের বিমান তৈরি করে ফেলতে পারবে এশিয়ার পরাক্রমশালী দেশটি।
গত আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় এ ধরনের একটি দাবি তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, তড়িঘড়ি ও অপরিকল্পিতভাবে সেনা প্রত্যাহারের জেরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক হাতিয়ার ফেলে এসেছে মার্কিন ফৌজ। সেই হাতিয়ার তৈরির প্রযুক্তি চুরি করছে রাশিয়া ও চীন।