দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে গত সপ্তাহের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত শিশুদের সংখ্যা বেড়ে ১৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দুই দশকের মধ্যে দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। খবর এপি, ম্যানিলা টাইমস।
ভূমিকম্পে বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশের পাহাড়ি গ্রামে ভূমিকম্পে বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিধস হয়েছে। বেশিরভাগ শিশু মারা গেছে পাকতিকার গায়ান জেলায়। ভূমিকম্পের কয়েকদিন পরেও ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তালেবান শাসকরা মোট ১ হাজার ১৫০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। শত শত আহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পে আনুমানিক ৬৫ শিশু এতিম বা সঙ্গীহীন হয়ে পড়েছে। কয়েক দশকের যুদ্ধ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর এই ভূমিকম্প আফগানিস্তানকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।
গত বছরের আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলে বিদেশি সাহায্য কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অর্থ স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়। এছাড়া দেশটির রিজার্ভে থাকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার স্থগিত করে ওয়াশিংটন।
বিশ্বের কোনো দেশ এখনও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশগুলোর দাবি, তালেবানের সরকারকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে এবং মানবাধিকারের শর্ত বিশেষ করে নারীর অধিকার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে ১৯৯০ এর দশকে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসলে নারী ও মেয়েদের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের অভিযোগ, তালেবান আবারও একই কাজ করছে। তবে তালেবানকে স্বীকৃতি না দিলেও চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশ তালেবান সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে, অনেকেই এমনটা মনে করছে। সম্প্রতি গুয়ান্তনামো বে কারাগার থেকে সর্বশেষ দুই আফগানির একজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর তালেবানের সাথে বাইডেন প্রশাসনের সৌহার্দ্য বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।