আপনি পড়ছেন

সুয়েজ খালের বিকল্প একটি বাণিজ্যিক রুট তৈরির কাজ জোরদার করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইরান। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর (আইএনএসটিসি) নামের প্রকল্পটির অর্থায়ন ও লেনদেন সহজীকরণে দুই দেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। আরবি ভাষার সাময়িকী আল-কুদস আল-আরাবি এ কথা জানিয়েছে।

suez twsd অর্থ ও সময়ের হিসাবে সুয়েজ খালের তুলনায় সাশ্রয়ী হবে আইএনএসটিসি

খবরে বলা হয়, রাশিয়া ও ইরান সুয়েজ খালের বিকল্প একটি উত্তর-দক্ষিণ নৌ পরিবহন রুট তৈরির কার্যক্রম জোরদার করতে একমত হয়েছে। পরিকল্পিত এ নৌপথ মুম্বাই থেকে ইরান, কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণ ও মধ্য রাশিয়া হয়ে বাল্টিক সাগর পর্যন্ত পৌঁছবে। এতে করে উত্তর ইউরোপ থেকে এশিয়া পর্যন্ত নৌ পরিবহনে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।

সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে পারাপারের বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত রুটটির চেয়ে নতুন এই নৌপথ তুলনামুলক কম দৈর্ঘ্যের ও সাশ্রয়ী হবে বলে দুই দেশের কর্মকর্তারা জানান।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিকল্প নৌপথ সৃষ্টির জন্য ২০০২ সালের মে মাসে একটি প্রকল্প অনুমোদন করে রাশিয়া, ইরান ও ভারত। সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে মস্কোর কর্মকর্তারা প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগী হওয়ায় দুই দশকের পুরনো প্রকল্পটির আপেক্ষিকতা ও গুরুত্ব আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।

দুই দশক আগে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর তথা আইএনএসটিসি নামের প্রকল্পটিতে রাশিয়া, ইরান, ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণ করে মধ্য এশিয়া ও ককেশীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ। এ প্রকল্পের অর্থায়ন ও বাণিজ্যিক লেনদেন সহজীকরণে গত সপ্তাহে মস্কো ও তেহরান একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। পরিকল্পিত নৌ রুটের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় বন্দর এবং সড়ক ও রেলপথ তৈরির কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।

ইন্ডিয়ান রেজিস্ট্রার অব শিপিংয়ের তথ্য মতে, নতুন এ নৌপথ ভারত ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহনে এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় কমাবে। সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে পারাপারের ক্ষেত্রে ভারত থেকে একটি চালান ইউরোপে পৌঁছতে ৪৫-৬০ দিন সময় লাগে। ইরান ও রাশিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন নৌপথ চালু হলে ২৩ দিনের মধ্যে ভারত থেকে ইউরোপে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে।

জানা গেছে, আইএনএসটিসির মাধ্যমে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরান হয়ে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপকে একটি অভিন্ন নৌ, সড়ক ও রেলযোগাযোগ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হবে। পারস্য উপসাগরের দুই পাড়ের দেশ ওমান ও ইরান এ প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, মুম্বাই বন্দর থেকে ইরান, কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণ ও মধ্য রাশিয়া হয়ে বাল্টিক সাগর পর্যন্ত পৌঁছবে একটি নৌপথ। আবার সমান্তরাল পথও রয়েছে। সেক্ষেত্রে মুম্বাই থেকে নৌপথে দক্ষিণ ইরানের বন্দর আব্বাসে পণ্য পৌঁছাবে। তারপর রেলপথে ইরান, আজারবাইজান হয়ে রাশিয়ার ককেশীয় সীমান্তের মধ্য দিয়ে ইউরোপের দোরগোড়ায় পৌঁছবে।

সূত্র জানায়, আইএনএসটিসির তৃতীয় একটি শাখা ইরান থেকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানকে ছুঁয়ে যাবে। কাস্পিয়ানের তীর থেকে কাজাখস্তান হয়ে উত্তর ইউরোপ পর্যন্ত সড়কপথে সংযুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে। কাজাখস্তানের মধ্য দিয়ে সড়কপথে ইউরোপে পৌঁছার পরিকল্পনায় চীনেরও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে বলে জানা গেছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.