সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো বে থেকে মুক্তি পেয়েছেন দুই আফগান নাগরিক। তাদের একজন আসাদুল্লাহ হারুন বলেছেন, তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই কারারুদ্ধ করা হয়েছে এবং এ অবস্থায় ১৫ বছর ধরে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
গুয়ানতানামো বে
তোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৪১ বছর বয়সী হারুন বলেন, ১৫ বছর কারাগারে অসংখ্যবার নির্যাতনের কারণে এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই।
স্নাতক ডিগ্রিধারী হারুন বলেন, আমার জীবনের ১৫টি বছর নষ্ট হয়েছে। আমি অর্থনীতিতে স্নাতক করেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এখন সব ভুলে গেছি। আমার পরিচয়, মর্যাদা ও খ্যাতি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি জানি না, আমার দোষ কী ছিল।
হারুন
আসাদুল্লাহ হারুনকে ২০০৭ সালে পূর্ব নানগারহার প্রদেশ থেকে মার্কিন বাহিনী গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে গুয়ানতানামো বে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পেন্টাগন আসাদুল্লাহ হারুনকে ইসলামি মিলিশিয়া এবং আল-কায়েদার কুরিয়ার কমান্ডার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
হারুণ দাবি করেন, মার্কিন বাহিনীর কাছে তার অপরাধ প্রমাণের কোনো নথি ছিল না। অথচ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একজন আইনজীবী খুঁজতে তিনি নয় শতাধিক চিঠি লিখেছিলেন।
হারুন বলেন, গুয়ানতানামো কারাগার ছিল মূলত একটি সামরিক ক্যাম্প। সেখানে আমার কোনো আইনি অধিকার ছিল না এবং দশ বছর পর্যন্ত আমার কোনো আইনজীবী ছিল না।
এ বিষয়ে আইনজীবী জাভিদ সাংদেল একজন বন্দীর অধিকার সম্পর্কে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সকল বন্দীর সাথে অবশ্যই ন্যায্য ও মানবিক আচরণ করতে হবে, যতক্ষণ না তাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়। ধর্ম, জাতি, ভাষা বা লিঙ্গের ভিত্তিতে তাদের সাথে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।
ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাবুলের মধ্যে সাম্প্রতিক সমযোতার প্রেক্ষিতে হারুনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।