ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুসে হযরত ইউসুফের (আ.) মাজারে সৃষ্ট সংঘর্ষে একজন প্রভাবশালী কমান্ডারসহ চারজন ইহুদি আহত হয়েছেন। এ সময় ১৭ জন ফিলিস্তিনিও আহত হন। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
কর্নেল রুই সুইগ
খবরে বলা হয়, গত বুধবার রাতে নাবলুসে হযরত ইউসুফের (আ.) মাজার এলাকায় প্রবেশ করে শত শত ইহুদি। তারা সেখানে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ সময় তাদের ওপর পাল্টা আঘাত হানে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তাতে ইসরায়েলের প্রভাবশালী কমান্ডার কর্নেল রুই সুইগ এবং অন্য তিনজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী আহত হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তাদের সঙ্গে সংযুক্ত নাবলুস ব্রিগেডের প্রতিরোধ সংগ্রামীরা পাল্টা হামলা চালিয়েছিল। স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টায় এই সফল অভিযান চালানো হয়। এর মাধ্যমে মুহাম্মাদ মাহির মারয়িকে হত্যার জবাব দেওয়া হয়েছে বলেও ওই ব্রিগেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হযরত ইউসুফের (আ.) মাজার
আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, বুধবার সকালে জেনিন শহরের শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ২৫ বছর বয়সী মুহাম্মাদ মাহির মারয়ি শহিদ হন। তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন ফিলিস্তিনি দল শোক দিবস ও ধর্মঘট পালন করে।
গত কিছুদিন ধরেই জেনিন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এসব সংঘর্ষে গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলিরা দাবি করছে, ইহুদিরা সেনা পাহারায় নাবলুসের উপকণ্ঠে জোসেফের (ইউসুফ আ.) সমাধিতে প্রার্থনা করতে আসার সময় সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ অবস্থায় তাদের একজন কর্নেলসহ কয়েকজন আহত হন। পরে ইসরায়েলি সেনারা নাবলুস থেকে সব ইহুদিকে সরিয়ে নেয়।
ইসরায়েল দাবি করে, মাসে একবার তারা জোসেফের সমাধিতে প্রার্থনা করতে আসেন। সে সময় ফিলিস্তিনিরা তাদের দিকে ঢিল ছুঁড়ে এবং প্রায়শই মোলোটভ ককটেল ও বন্দুক দিয়ে তাদের আক্রমণ করে।