আপনি পড়ছেন

আরেকদফা নির্বাচনী বন্ড বিক্রি শুরু করেছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ ১ জুলাই থেকে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন শহরে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) ২৯টি অনুমোদিত শাখা থেকে এসব বন্ড কেনা যাবে।

electoral twsd নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিরোধী দলগুলোর আবেদনের ওপর তিন বছরেও শুনানি করেনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ড বিক্রির ২১তম কিস্তি আজ শুরু হয়েছে। এর আগে ২০ দফা এসব বন্ড বিক্রি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিলে চাঁদা প্রদানের সুবিধার্থে এসব বন্ড ইস্যু করা হয়ে থাকে।

এসবিআইর শাখাগুলোতে ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লাখ, ১০ লাখ ও ১ কোটি রুপি মূল্যমানের নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হচ্ছে। ভারতের যে কোনো নাগরিক অথবা প্রতিষ্ঠান যে কোনো মূল্যমানের যত বেশি সংখ্যক বন্ড কিনতে পারবে।

চাঁদা দিতে ইচ্ছুক নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে বন্ড কিনে পছন্দের রাজনৈতিক দলের কাছে হস্তান্তর করবে। ইস্যু তারিখের ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দল প্রাপ্ত বন্ড ব্যাংকে জমা দিয়ে নগদায়ন করতে পারবে। ১৫ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলে ওই বন্ড নগদায়ন করা যাবে না। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দলকে ভারতের কোনো তফশিলি ব্যাংকে হিসাব খুলতে হবে।

এর আগে ২০ কিস্তিতে বিক্রিত নির্বাচনী বন্ডের প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি তহবিল একাই পেয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে পেয়েছে ১০ শতাংশের কম তহবিল।

ভারতের সিভিল সোসাইটি ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সেদেশের মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলীয় বিধায়কদের বিজেপিতে টেনে নেওয়ার পেছনে নির্বাচনী বন্ডের অসচ্ছতাকে দায়ী করেছে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অসচ্ছ ও অন্যায়ভাবে তহবিল আদায় করে বিজেপি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর।

ভারতের নির্বাচনী বন্ড কেনাবেচার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিপিআই-এম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, জনতা দল সেক্যুলার নেতা কুমারাস্বামী, প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি নেতা মেহবুবা মুফতিসহ অন্যান্য রাজনীতিকরা।

নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদাদাতাদের পরিচয় প্রকাশ ও প্রক্রিয়াটির যথাযথ নিরীক্ষার জন্য ২০১৯ সালে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে করা একটি আবেদনে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন বছরেও শুনানি করেনি।

প্রতিবছর জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই ও অক্টোবর মাসের ১-১০ তারিখ ভারতে নির্বাচনী বন্ড কেনা যায়। চেক অথবা ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বন্ড কেনা যায়। তবে ইস্যুকৃত কোনো বন্ডে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা বা চাঁদাদাতার নাম থাকে না।

বিজেপি সরকার ২০১৭ সালে এক অর্থবিলের মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড প্রবর্তন করে। পরের বছর থেকে এসব বন্ড বিক্রি শুরু হয়। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ডের প্রায় একক সুবিধাভোগী বিজেপি।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.