শিশুর ত্বকে র‍্যাশ ঠেকাতে

বাইরে বের হওয়ার সময় আদরের বাবুকে কাজলের ফোঁটা দেয়া মায়েদের চিরন্তন অভ্যাস। অনেক সময় দেখা যায় শিশুকে পাউডার, তেল বা কাজলের ফোটা দেয়া থেকে র‍্যাশ ওঠে। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখলেও শিশুর ত্বকে র‍্যাশ উঠতে পারে। ত্বকে ময়লা জমেও র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। শিশুর ত্বকে র‍্যাশ-এর সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ধরণের সমস্যা যাতে না দেখা দেয় সেজন্য কয়েকটি বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে। জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

কয়েক ঘণ্টা পর পর শিশুর ডায়াপার বদলে দিন। অনেকক্ষণ ধরে একই ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। শিশুকে দিনের খানিকটা সময় ডায়াপার ছাড়া রাখার চেষ্টা করুন। আর ভেজা ডায়াপার সঙ্গে সঙ্গে বদলে দিন। এতে করে শিশুর শরীরে প্রাকৃতিক আলো বাতাসে লাগবে, র‍্যাশও কমবে দ্রুত।

শিশুর ব্যবহারের জন্য কেনা পাউডার, টিস্যু মত দরকারি জিনিসগুলোতে অতিরিক্ত কেমিক্যাল রয়েছে কি না সেদিকে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে।

শিশুর বয়স চার মাস? তবে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান। এতে ত্বকে ময়লা জমবে না। র‍্যাশ উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম লাগাতে হবে।

মানসম্পন্ন, ভালো ব্র্যান্ডের ডায়াপার ব্যবহার করুন। একটি ডায়াপার তিন ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করবেন না। প্রস্রাব-পায়খানার পর ডায়াপার বদলে দিন। গরমের দিনে ডায়াপার পরানোর আগে পাউডার, পেট্রলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।

শিশুর পরিধেয় জামাকাপড় অবশ্যই নরম ও মসৃণ হতে হবে। শিশুর ত্বকের জন্য সুতির কাপড় হওয়াই বাঞ্ছনীয়, কারণ এটি নিরাপদ। বাচ্চাদের বেশি আঁটসাঁট জামা পরানো উচিত নয়। কারণ শরীরে আলো-বাতাস না লাগলে ঘাম হয়ে ময়লা আটকে যাবে এবং বিভিন্ন চর্মরোগের সৃষ্টি হবে। তাই যতটা সম্ভব ঢিলাঢালা পোশাক পরানোই ভালো।

শিশুকে প্রতিদিন গোসল করালেও সাবান-শ্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার না করাই ভাল। গোসলের পানি যাতে অবশ্যই পরিষ্কার-জীবাণুমুক্ত হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

শিশুর দাঁতের যত্নআত্তি

আপনার শিশু কি হাঁপানিতে ভুগছে?

শিশুর ক্যালসিয়ামের চাহিদা যেভাবে পূরণ করবেন

আপনার শিশু খেতে চায় না?

আপনার বাবুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে ডায়াপার