দিন দিন হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছেই। প্রতিদিন শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাকে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। হার্ট যদি সুস্থ রাখতে চান তবে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হোন। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, কিছু কিছু খাবার হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী আবার কিছু কিছু খাবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকে মানুষ পঙ্গু ও বিকলাঙ্গও হয়ে যেতে পারে। তাই বিশেষ খাবারে নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্যতালিকায় সঠিকভাবে সবরকম খাদ্য যোগ করা জরুরি।

heart disease risk

হার্টের সুস্থতা নির্ভর করে ভাল সুষম খাদ্যের ওপর। সুষম খাদ্য কলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিকর খাবার সুস্থভাবে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও সুষম খাদ্য এটি ক্যান্সার এবং অন্যান্য মৃত্যুব্যাধি রোধ করতে সাহায্য করে। কখনও কখনও হার্টের সুস্থতার জন্য নির্দিষ্ট খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র অভ্যাসগত কারণে পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে পড়ে। সুস্থ হার্টের জন্য এখানে কিছু সহজ উপায় রইল-

ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল-সবজিতে ক্যালোরি কম থাকে। হার্ট সুস্থ রাখায় সবজি ও ফল অন্যতম। কারণ ফল-সবজিতে এমন উপাদান থাকে যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমনভাবে তৈরি করুন যাতে ফল ও সবজির প্রাধান্য থাকে। যেমন- সবজির সুপ, সবজির তরকারি, সবজি ও ফলের স্যালাড, ফলের কাস্টার্ড ইত্যাদি।

আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় শর্করা বা কার্ব। ভাল বা খারাপ, দুই ধরণের কার্ব আছে। খারাপ কার্বের আওতায় রয়েছে ডেজার্ট, পাই, পেস্ট্রি, সোডা, চিনি, ক্যান্ডি, কুকিজ, সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, সাদা চাল এবং কৃত্রিম সিরাপ ইত্যাদি। খারাপ কার্ব খাদ্যে পুষ্টি নয় বরং ক্যালোরি যোগ করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য সবচেয়ে কার্যকর টিপস হল খাদ্য তালিকায় শুধুমাত্র ভাল কার্ব যোগ করা। চিনির অনুর চেইন দ্বারা ভাল কার্ব গঠিত হয় এবং দেহে ব্যবহার করার জন্য ভেঙে ফেলতে অনেক সময় নেয়। ফলে দেহে আরও বেশি শক্তি যোগায়। ভাল কার্বের আওতায় রয়েছে গম, বাদামী রুটি, পাস্তার মত সমগ্র শস্য অন্তর্ভুক্ত। গবেষণা বলে, এইসব খাদ্য হৃদরোগের আতঙ্ক এড়াতে প্রয়োজন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঢেঁকিছাটা লাল চাল, লাল আটা সাহায্য করে। ডায়েটে শস্য খাবারের বদলে হোল গ্রেন খাবার রাখুন। যেমন- বাদামি চাল, ওটমিল, হোল গ্রেন রুটি, বার্লি, গমের আটা, কিনবাহ, কুসকুস ইত্যাদি। আরেকটি ভাল হোল গ্রেনের উদাহরণ হল তিসি। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার সমৃদ্ধ এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। একটি গ্রাইন্ডারে তিসি গুঁড়ো করে নিন। এক চামচ তিসি গুঁড়ো আপনার রেসিপিতে মিশিয়ে নিন।

সুস্থ হার্টের জন্য লবণ থেকে দূরে থাকতে হবে নিঃসন্দেহে। অতিরিক্ত লবণ বা খাদ্যের বাড়তি সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে পারে। এতে হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। হিমায়িত, প্রক্রিয়া বা টিনজাত খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে তাই হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এগুলো এড়িয়ে চলুন। স্যুপ বাড়িতেই তৈরি করুন। এছাড়া বাজারে কিছু লবণ পাওয়া যায়, এসবে সোডিয়াম কম থাকে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

আট দিনে নির্মূল হবে এইডস!

বাঁধাকপির ভালো-খারাপ দিক

পরিচিত পালং শাকের অজানা গুনাগুন

মাথা ব্যথার কারণ যখন অতিরিক্ত কম্পিউটারের ব্যবহার

কলারও আছে কিছু ক্ষতিকর দিক

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.